পাতা:অভাগীর স্বর্গ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন কোরেল গ্রামে প্রতি বৎসর অতি সমারোহের সহিত ঘোড়দৌড় হইত। আজি সেই উপলক্ষে প্রান্তস্থিত মাঠে বহু জনসমাগম হইয়াছিল । মেরি ধীরে ধীরে লিওর পশ্চাতে আসিয়া দাড়াইল । লিও তখনও অত্যন্ত মনোযোগের সহিত পুস্তক লিখিতেছিল, তাই দেখিতে পাইল না ! মেরি কহিল, “আমি আসিযাছি, ফিরিয়া দেখা ।” লিও ফিরিয়! দেখিয়া কহিল, ‘ইস-এত সাজিয়াছ কেন ?" মেরিও হাসিয়া ফেলিল ; কহিল, “সাজিয়াছি কেন শুনিবে ? ‘বল !” “আজি ঘোড়দৌড় হইবে । যে জয়ী হইবে, সে আজ আমাকেই ফুলের মালা দিবে।’ “তবে ত তোমার আজ বড় সম্মান ! তাই এত সাজসজ্জা ।" মেরি গ্রীতি-প্রফুল্ল নোত্রে কিছুক্ষণ লিওব মুখপানে চাহিয়া রহিল ; তাহার পর পরম স্নেহে দুষ্ট হস্তে তাহার গ্রীবা বেষ্টন করিয়া মুখের কাছে মুখ রাখিয়া বলিল, “শুধু নাই নয়, তুমি আমার কাছে থাকিবে । তোমার পাশে দাড়াইয়া পাছে নিতান্ত কুৎসিত দেখিতে হই, সেই ভয়ে এত সাজিয়াছি ; মণিমুক্তায় রূপ বাড়ে তা ? সম্মুখস্থিত মুকুরে দুটি মুখ ৷ তক্ষণ দুটি পরিস্ফুট গোলাপ ফুলের মত ফুটিয়া উঠিয়াছিল, লি ও তাই দেখাইয়া বলিল-"ঐ দেখা ।” মেরি অতৃপ্ত নয়নে কিছুক্ষণ ঐ দুটি ছবির পানে চাহিয়া রহিল । তাহার বোধ হইল সিও বড় সুন্দাবী আজ তোহার প্রথম মনে হইল। সৌন্দর্যের আশ্রয়ে দাড়াইলে কুৎসিত দেখিতে হয় না, বরং যাহা সৎ তাহাকে জড়াইয়! থাকিলে দোষ টুকুও চাপা পড়িয়া যায়। আবেশে চক্ষু মুদ্রিত করিয়া মেরি ধীরে ধীরে কহিল, ”আমি যেন চাদের কলঙ্ক-তবু अभद्ध कड g*ा ड! !’’