পাতা:অভাগীর স্বর্গ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-এত আনন্দও কখনও অনুভব করি নাই – । তোমার করুণা পাইবার জন্য আমি একটা পা কাটিয়া দিতে পারিতাম ; আঘাত ত তুচ্ছ কথা ? সে রাত্রে অনেক শেরি, শাস্পেনেব শূন্যগর্ভ বোতল ভূমিত লে। লুটাইয়া পড়িল ; গভীর রাত্রি পর্যন্ত আপনার পাঠাগারের জানালায় বসিয়া দুঃখিত অন্তঃকরণে লিওপোল্ড বিকৃত জড়িত কণ্ঠের গীতিধ্বনি শ্রবণ করিল ; পিয়ানোর শব্দ ঝামািঝম করিয়া আকাশে উঠিল ; কৰ্কশ” কণ্ঠের সহিত মধুর কণ্ঠও কয়েকবার মিশ্রিত হইল। জানালা বন্ধ করিয়া লিও শয্যাশ্রয় করিল,-আজি হৃদয়ে একটু যাতনা বোধ হইতেছিল । ॲiष्ठ পরদিন মেরি লিওকে বলিল, “কাল আমাদের বাটীতে কেমন উৎসব হইয়! গেল, তোমার সময় ছিল না বলিয়া তোমাকে ডাকি নাই ।” লিও হস্তস্থিত কলম দোয়াতের উপর রাখিয়া দিয়া কহিল, "ভােলই করিয়াছিলে –কিন্তু আমার ও কাল রাত্রে কিছুই কাজ হয় নাই, কিছু ক্ষতি হইয়াছে।’ মেরি মুখপানে চাহিয়া বলিল, “কোন কাজ হয় নাই ? লিও কলম তুলিয়া লইল, পুস্তকে মনঃসংযোগ করিবার উপক্রম করিয়া বলিল, “সে কথা তুলিয়া কাজ নাই, আমি বলিতে পারিব না।” এরূপ কথা জীবনে মেরি এই প্রথম শুনিল । বিস্মিত হইয়া বলিল, ‘কেন ?" ‘তা জানি না ; বোধহয় মন কিছু নীচ হইয়া পড়িয়াছে।” তাহার পর মেরি অনেকক্ষণ বসিয়া বহিল, অনেক কথা মনে মনে তোলাপাড়া করিল, কিন্তু লিও আধ মুখ তুলিল না, কোন কথাই জিজ্ঞাসা করিল না ! মেরি যাইবার সময় বলিল, “ফাইতেছি ?” سر