পাতা:অভাগীর স্বর্গ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*यi७3 ।' যাইবার সময় তাহার বোধ হইল যেন সে লিওর মনের কথা কতক বুঝিতে পারিয়াছে, কিন্তু প্রতিপন্ন করিবার উপায় নাই--শুধু অনুমান করা যায় মাত্র। যাহা হউক, ক্ষুদ্র পথটুকু সে বড় অন্যমনস্কভাবে অতিক্রম করিল। বাটীর ভিতর প্রবেশ করিবার সময় ভূত্য একখানা টিকিট হাতে করিয়া কহিল, চালাস বসিবার কক্ষে অপেক্ষা করিতেছেন। মেরি ভ্র কুঞ্চিত করিয়া বলিল, “কেন ? “তাহা জিজ্ঞাসা করি নাই,-জিজ্ঞাসা করিয়া আসিব কি ? মেরি একটু ভাবিয়া বলিল, “থাক, আমি নিজেই যাইতেছি।” চালাসের বিশেষ কিছুই কাজ ছিল না। সে শুধু গত নিশির আমোদ-উৎসবের জন্য ধন্যবাদ দিতে আসিয়াছিল । মেরি কক্ষে প্রবেশ করিলে সে অতিশয় ভদ্রতার সহিত অভিবাদন করিয়া উঠিয়া দাড়াইল । মেরি হাত ধরিয়া অতিথিকে বসাইয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিল,-কারণ পূর্বেই বলিয়াছি, কিন্তু কথায় কথায় তাহা একটু অন্যরকমে দাড়াইতে ळ्ळि । মেরির কত ঐশ্বর্য, কত বিষয়-আশয়, কত মান-সন্ত্রম ! এই ত হইল প্রথম ; তাহার পর মেরি কত উচ্চবংশীয়, তাহার পিতা কত বড় বীর এবং সজ্জন ছিলেন। --রাজ দ্বারে তঁাহার যে পরিমাণ সম্রাম ছিল। সে পরিমাণের সম্রম অর্জন করিতে বিশেষ বুদ্ধি, বিবেচনাশক্তি, রাজনৈতিক জ্ঞান প্রভৃতির প্রয়োজন, মেরির পিতা Captain নোলের তাহা কিছুমাত্র কম ছিল না ; এক কথায় আজকাল সেরূপ আর মিলে না। কিন্তু শেষের কথাগুলি আরও উচ্চ অঙ্গের, মেরির তাহা খুব ভাল লাগিতেছিল, – সেটা অন্য কিছু নয়, শুধু তাহার নিজের রূপ এবং যৌবনের ব্যাখ্যা এবং পক্ষপাত সমালোচনা । পুরুষের মুখে এ কথাগুলো স্ত্রীলোকের সর্বাপেক্ষ তৃপ্তিকর বোধ হয়, এ কথার কাছে আর কিছুই নয়। তাই কতক্ষণ দুইজনে নির্জন কক্ষে গল্প করিয়া অতিবাহিত করিল তাহা মেরি বুঝিতে পারিল না। ঘড়িতে যখন দুইটা दांख्रिल डश्थून চালাস বিদায় হইল এবং যাইবার সময় সেই দিন সান্ধ্যভোজনের VE 7-8 8S