পাতা:অভাগী (তৃতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

な)* ड्राख्छाी আমার কাজ শেষ হ’ল। এইবার দিদিকে কাশীতে রেখে দিয়ে। কলকাতায় যাব। দোকান-পাট বেচে ফেলে, না হয় কাউকে দান ক’রে একেবারে হিমালয় । সুশীলা-দিদি তিনকড়ির কথা শুনছিলেন, আর আঁচলে চোখ মুছছিলেন। তিনকড়ির কথা যখন শেষ হলো, তখন বললেন, তিনকড়িমামা, তুমি যে আমার কে, তোমরা ভাই-বোনে যে আমার জন্য কি ক’রেছ, তা কি আমি ভুলতে পারি? আমার জন্য যে তুমি গৃহী হ’য়েও সন্ন্যাসী, তা আমি জানি ; কিন্তু, কি করব ৱল। • আমি যে, কি চাই, তা তোমাকে বোঝাতে পায়ব না। একদিন ঐ আত্মানন্দ স্বামীকে সে কথা বলবার চেষ্টামাত্র ক’রেছিলাম। দেখা মামা, এই অভাগীর কথা তোমরা ভুলে যাও। আর আমি তোমাদের বিরক্ত করতে আসব না। ঐ যে বৃদ্ধ দেখছ, আমার অবলম্বন এখন উনিই স্কু’বেন। আমি যা চাই, উনি তাই আমাকে দিতে পায়বেন, এই বিশ্বাসেই আমি ওঁর উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করছি। সত্যিই তো, আমি তোমাদের কে ? তিনকড়ি আর আত্মসংবরণ করতে পারল না । যে তিনকড়ি দিনরাত হেসে খেলে আমোদ-আনন্দে কাটাতে অভ্যস্ত, সুশীলার কথা শুনে সেই তিনকড়ি একেবারে বালকের মত কঁাদিতে লাগিল । অনেক চেষ্টায় সেই কান্না সংবরণ করে বলল, সুশীলা, তুই যে আমার কুে, সে কথা কেমন ক’রে তোকে বােঝাব। তুই যদি অমন ক’রে কম্বুলেটােলা থেকে না চলে যেতিস্, তা ফ্ল'লে যে