পাতা:অভাগী (তৃতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী S& ঘরে নিয়ে গেলেন। দেখি, একখানি খাটিয়ার উপর শুভ্র শয্যায় আমার সুশীলা অন্তিম-শয্যায় শায়িতা। তার সর্বশরীর ফুল দ্বারা আচ্ছাদিত। মুখে তার সেই হাসি তখনও লেগে আছে! . আমি একবার সেই অনিন্দ্যাসুন্দর, পবিত্রতা মাখা মুখের দিকে চেয়ে দৌড়ে সে ঘর থেকে বের হয়ে এলাম। সৈ দৃশ্যের সম্মুখে আমি থাকতে পারলাম না । তারপর আমারই অভিপ্রায় মত সুশীলার শবদেহ দাহ করবার ব্যবস্থা হোলো । কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী, শুশ্রুষাকারিণী প্রায় সকলেই শবের অনুগমন করলেন ণ শবদাহের-আগারে উপস্থিত হ’লে একজন ধর্ম্মযাজক পরলোকগতা সুশীলার জন্য করুণ-সুরে প্রার্থনা করলেন। তারপর সেই আগারের মধ্যে মৃতদেহ অদৃশ্য হ’য়ে গেল। আমরা বাইরে ব'সে রইলাম। ঘণ্ট” দেড়েকেই সব শেষ—হরেন্দ্রনাথ, সব শেষ হ’য়ে গেল। আমার সুশীলার মরদেহের চিহ্নমাত্রও রইল না । প্রিয় হরেন্দ্রনাথ, এরই জন্য কি তোমাদের মেহের কোল থেকে সুশীলাকে আমি টেনে এনেছিলাম। কানপুরে তোমাকে বলেছিলাম, সুশীলার একটা গ্রহ বিশেষ অপ্রসন্ন, কিন্তু এক বৎসর y D DuBB BB BDB DBSDD DB BD DDDD DD আমার আশা ছিল, এ গ্রহের দোষ খণ্ডন হ’বে। সে ভরসা। তোমাদেরও দিয়েছিলাম। কিন্তু হায় ! সব বৃথা হোলো । আমার একটা বাসনাও পূর্ণ হোলো না । বিধাতার অমোঘ বিধান হরেন্দ্রনাথ, আর কি বলব।