পাতা:অভাগী (তৃতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१9 অভাগী ডাক্তার সাহেব বললেন, তুমি কে, এই কথা জিজ্ঞাসা করছি তিনকড়ি ? আমি এ জিজ্ঞাসার উত্তর দিচ্ছি। তোমরা হয়। তো শোন নি যে, যখন আমি এদেশে ছিলাম তখন হিন্দু জ্যোতিষ-সম্বন্ধে আমি কিছুদিন আলোচনা করেছিলাম। একজন হিন্দু সন্ন্যাসীর সাহায্যও সে সময় পেয়েছিলাম ; তিনি আমাকে মানুষের করকোষ্ঠী বিচারের পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন । তারপর কিছু দিন নানা কারণে জ্যোতিষের চর্চা আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। সুশীলা যখন পীড়িত হ’য়ে সাজাহানপুরে আসে, তখন আমি সেখানে ছিলাম এবং সুশীলার চিকিৎসার ভার সতীশ আমার উপর দিয়েছিল, এ কথা তোমরা জান। সেই সময় জামি হঠাৎ সুশীলার হাত দেখেছিলাম, এবং পূর্বের শিক্ষার ফলে আমি তার কর-কোষ্ঠীর বিচার করেছিলাম। - সুধু সুশীলার কেন, আমি তখন সতীশ ও তিনকড়ির হাতও দেখেছিলাম । তারপর যখন আমি ছুটী নিয়ে বিলাত যাই, সেই সময় সতীশকে সব কথা বলেছিলাম। তিনকড়ির উপরই তখন আমি সুশীলার রক্ষণবেক্ষণের ভার দিয়েছিলাম। সতীশের জীবন-কাল যে তখন সংক্ষেপ হ’য়ে এসেছিল, তা আমি তার কর-কোষ্ঠী বিচার করে জানতে পেরেছিলাম। তাই সর্ব্বাপেক্ষ উপযুক্ত পাত্র হ’লেও আমি তার উপর সুশীলার ভার দিই নাই। সে সময় আমি সুশীলার জন্য ব্যাঙ্কে সামান্য কিছু টাকা জমা করে দিয়েছিলাম এবং সেটাকা ব্যয় করবার অধিকার তিনকড়িকে দিয়েছিলাম ; তবে ব্যাঙ্কের উপর আমার আদেশ ছিল যে, টাকা জমা দেবার