পাতা:অভাগী (তৃতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

repe আমরা ঘরে ফিরে এসে ডাক্তারসাহেবের কথাই আলোচনা করতে বসলাম । তিনকড়ি বলল, ডাক্তারাসাহেব বিলেত যাবার সময় কলকাতার বেঙ্গল ব্যাঙ্কে যে পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন, আর আমাকেই যে সুশীলার জন্য সেই টাকা খরচ করবার অধিকার দিয়েছিলেন, সে কথা কি আমি তখন জানতে পেরেছিলাম। এই মাস পাঁচ-ছয় আগে ব্যাঙ্ক থেকে যখন আমার কাছে চিঠি এল, তখন আমি একেবারে অবাক হ’য়ে গেলাম । সাহেব এই দুনিয়াতে আর লোক পেলেন না, সুশীলার জন্য আমানত টাকার খরচের অধিকার দিয়ে গেলেন এই লক্ষ্মীছাড়া, মুর্থ তিনকড়ির উপর । এ যে তঁর কি সুবিবেচনা, আমি তা ভেবেই পাই নে। আমি তখনই ঠিক করেছিলাম, আমি এ ভার নেব। না ; সব টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়ে হরিদ্বারে গিয়ে সুশীলাকে দিয়ে আসবে। আমার মত অতি সামান্য দোকানদারকে যিনি বিশ্বাস ক’রে এত টাকা দিতে পারেন, তিনি পণ্ডিত হ’তে পারেন, কিছু তার যে বিষয়-বুদ্ধি একটুও নেই, সে কথা আমি এক-শ বার কেন, হাজার বার বলব। কি বলেন ডাক্তারবাবু? আমি কিন্তু বলবার আগে রাণী ব’লে উঠল, তুমি জান না তিনকড়িামামা, ডাক্তারাসাহেব বাবার সঙ্গে পরামর্শ করেই এ কাজ ক’রেছিলেন। শুনলে না। সাহেবের মুখে, তিনি বুঝতে পেরে