পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फ्राठी ব্যবস্থা করিবার জন্য কক্ষান্তরে চলিয়া গেল। সুশীলা রমা, নাথের প্রদর্শিত ঘরের মধ্যে যাইয়া দেখে, সেখানে একখানি মাদুর বিছানো রহিয়াছে । সুশীলা সেই মাদুরে বসিয়া পড়িল । একটু পরেই রমানাথের বামুনী ওরফে গৃহসঙ্গিনী আসিয়া সেই ঘরে প্রবেশ করিল। বামুনঠাকুরাণীর বয়স ২৫/২৬ বৎসর। দেখিতে কুৎসিত নহে, দেখিলে গৃহস্থের মেয়ে বলিয়া মনে হয় না । ইহার অধিক পরিচয় দিবার বা বর্ণনা করিবার আর কোনও প্রয়োজন দেখি না । বামুনী বলিল, “ওগো বাছা, চুপটি ক’রে বসে আছ কেন ? বেলা ত কম হয়নিআমার রান্নাবান্না সব হয়ে গিয়েছে । ঠাকুর তোমাকে গঙ্গাস্নান করিয়ে আনতে दन्एनन চল, তোমাকে নাইয়ে নিয়ে আসি। তোমার নামটি কি ভাই ?” বামুনঠাকুরাণীর আকার প্রকার, হাব ভাব, পরণপরিচ্ছদ, কথাবার্ত্তা কিছুই সুশীলার নিকট ভাল বোধ হইল না ! সুশীলার মনে এতক্ষণ যে শান্তির ভাব ছিল, এই বামুনঠাকুরাণীকে দেখিয়া তাহা যেন একটু নড়িয়া গেল। তাহার মনে হইল, সে এ কোথায় আসিল ! এ স্থান, এ বাড়ী, এ স্ত্রীলোকটি কিছুই তাহার নিকট ভাল ঠেকিল না। কিন্তু [ ७२७