পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী একটা তারকাও আলো দিবার চেষ্টা করিতেছে না । তাহার মনে হইল, গভীর অন্ধকার যেন চারিদিক হইতে তাহাকে গ্রাস করিতে আসিতেছে। সে পথের পার্থে এক অন্ধকারস্থানে চুপ করিয়া দাড়াইল । অনেক ক্ষণ কি ভাবিল ; তাহার পর °সে গঙ্গার দিকে চলিল। এ পথটা তাহার জানা ছিল ; এই কাশীতে সে দুইটা পথ চিনিত-এক বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরের পথ ; আর এক পতিতপাবনী গঙ্গার পথ। আজ এই অসহায় অবস্থায় সে এই দ্বিতীয় পথই ধরল। তাহার মত অভাগীর পক্ষে, তাহার মত পরিত্যক্তার পক্ষে যে ঐ পতিতোদ্ধারিণী, কলুষ নাশিনী সুরধুনীই একমাত্র পথ। আজ সেই পথের কথাই তাহার মনে হইল । সেই জগন্মাতার বক্ষে মাথা রাখিয়া সকল সন্তাপ, সকল অত্যাচারের হস্ত হইতে চিরশান্তি লাভের কথা, আজ এই নিরাশ্রয় অবস্থায়, তাহার মনে হইল। সে তখন দ্রুতগতিতে গঙ্গার দিকে অগ্রসর হইল । ' গঙ্গার পথ তাহার অপরিচিত ছিল না ; সে সোজাপথেই গঙ্গাতীরে আসিয়া উপস্থিত হইল। রাত্রি তখন প্রায় এগারটা । দশাশ্বমেধ ঘাটে তখন দুই একজন লোক সিঁড়ির উপর বসিয়া [ ܪ܀ ܠ