পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী পায়। মিথ্যাকথা বলা যে কত শক্ত ব্যাপার, সতীশ তাহা বুঝিতেছিল। একটা মিথ্যা কথা সে বলিয়া ফেলিয়াছে, কিন্তু ইহার পর দীনেশের জেরায় বা অন্য কথায় তাহার সে মিথ্যাকথাটা ধরা না পড়ে, তাহারই জন্য সে সতর্ক হইয়াছিল। তাহার সুধুই মনে হইতেছিল, কোন রকমে আত্মরক্ষা করিয়া দীনেশকে সাজাহানপুরে লইয়া যাইতে পারিলেই সে বঁাচে । সেখানে গেলে যাহা হয়, তাহার ব্যবস্থা তখন করা যাইবে । হিন্দু আশ্রমে স্নান-আহার শেষ করিয়া সতীশ বলিল “ভাই দীনেশ, তুমি আমার সঙ্গে যাবে ? একবার আমাকে বেরুতে হবে। আমি কলকাতায় আসছি। খবর পেয়ে আমার মেয়ে কানপুর থেকে কয়েকটা ফরমাইস পাঠিয়েছে। আমার জামাই যে এখন কানপুরের এসিষ্টাণ্ট-সার্জন ডাক্তার। তার সে জিনিসগুলো কিনতে হবে ; বাড়ীরও কিছু বরাত আছে, সেগুলোও নিয়ে যেতে হবে ।” দীনেশ বলিল “সুশীলা কিছু নিয়ে যেতে বলে নাই ?” সতীশ উকিল মানুষ। ফৌজদারী মোকদ্দমায় তাহার নামডাক ও খুব বেশী। প্রতিদিন তাহাকে ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা লইয়া কারবার করিতে হয় । কিন্তু সে সকলই পরের বেলায় ; ! २११ እ ጓ