পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী সে পারব না। ভাই ! আর ওর মায়ের কথা যা বলছিলি, আমার যে সে কথা মনে না হ’য়েছিল, তা নয় ; কিন্তু তার প্রকৃতি জানি । তুই কি সেই কলকাতার কথা ভুলে গিয়েছিল। আর তারপর আমাদের সঙ্গে তার ত অনেক চিঠি লেখালেখি হয়েছে; কিন্তু একদিনও কোন চিঠিতে সে তার মেয়ের নামটি পর্য্যন্তও করে নাই। সে সুশীলাকে কিছুতেই ক্ষমা করবে নাতার তেমন ভাবই নয়। এ অবস্থায় সুশীলাকে নিযে আমাকেই এখানে থাকতে হবে।” তিনকড়ি বলিল “যাক্‌ ; এখনই ত আর তুমি বাড়ী যােচ্ছ না। সুশীলা সেরে উঠুক ; তারপর ভেবেচিন্তে যা হয় করা যাবে।” এই সকল কথার পর তিনকড়ি কোথায় বাহির হইয়া গেল, বড়দিদি সুশীলার নিকট গেলেন। সুশীলা এখনও বিছানায় উঠিয়া বসিতে পারে না-এত সে দুর্ব্বল! তবে জরটা কমিয়া গিয়াছে। ডাক্তার বাবু বলিয়াছেন, ভাল রকম সেবা শুশ্রুষা করলে আর আটদশ দিনের মধ্যেই সুশীলা छाब्न श्tश्न याद । বড়দিদি সুশীলার পাশ্বে উপবেশন করিয়া বলিলেন, “মা, এখন একটু ভাল বোধ হচ্চে ত ?” [ २१०