পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী সুশীলা বড়দিদির মুখের দিকে চাহিয়া বলিল “মাসি-ম, আমি ত বিশ্বনাথের নাম ক’রেই এতদিন বেঁচে আছি ; তেঁৱেই নাম করেই তা এত বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছি মাসি-মা ! তিনিই ত এই অভাগীর উপর দয়া করে এতদিন পর্ক্সেএত কষ্টের, এত যন্ত্রণার পর-” আবার সুশীলা কঁাদিয়া ফেলিল, আবার তাহার কণ্ঠরোধ হইয়া গেল । বড়দিদি নিজের অঞ্চল দিয়া তাহার চক্ষের জল মুছাইতে মুছাইতে বলিলেন “বাবা বিশ্বনাথের নাম কর সুশীলা । তিনি ত সবই জানছেন, সবই দেখছেন। যত বড় পাপাই কর না। কেন, তার নাম করলে, সে সব পাপ ধুয়ে যাবে।” সুশীলা বলিল “মাসি-মা, পাপ করেছি-মহাপাপ করেছি। --তার শাস্তি ত দেখছি। কিন্তু তোমায় বলি মাসি-মা- তোমাকেই বলি। এ জীবনে সে কথা আর কাউকে বলব। ব’লে মনে করি নাই। —আমার দুঃখের কথা, আমার দুরূদৃষ্টির : কথা শোনবার যে কেহ আছে, কেহ থাকতে পারে, আমার ; চক্ষের জল মুছিয়ে দিবার জন্য যে কেহ আসবে-এ কথা ত কোন দিন স্বপ্নেও ভাবি নাই-স্বপ্নেও ভাবি নাই মাসিমা ! বাবা বিশ্বনাথ আজ তোমায় এনে দিয়েছেন-তিনিই २१७ ] >絮