পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী বিষয়মুখে, মাথায় হাত দিয়া বসিয়া আছে। তিনি নিকটে আসিতেই তিনকড়ি কঁাদিয়া উঠিল । বড়দিদি তাড়াতাড়ি তাহার নিকট বসিয়া ব্যস্তভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন ‘তিনকড়ি, কি হয়েছে ? তুই কঁদেছিস্ কেন ? ডাক্তারকি ব’লে গেলেন ?” তিনকড়ি কঁাদিতে কঁাদিতে বলিল “দিদি, সুশীলাকে আঁর द्वैष्ठ °झुळ • !” বড়দিদি এই কথা শুনিয়া ব্যস্ত হইলেন ; তঁহার চক্ষু দিয়া জল পড়িতে লাগিল ; তিনি কোন কথা না বলিয়া তৎক্ষণাৎ সুশীলার শয্যাপাশ্বে যাইয়া বসিলেন । সুশীলা বড়দিদির মলিনমুখ দেখিয়া বলিল “মাসি-মা, আমি বুঝতে পেরেছি। তুমি কাতর হচ্চি কেন ? আমি ত তোমাকে বলেছি, এবার আমি বঁচিব না। আমার মরণই ভাল, আমার আর বেশীদিন বিলম্ব নেই। মাসি-মা, তুমি আমাকে নিষেধ কোরো না । আমি আজ তোমাকে আমার দুঃখের কথাগুলো বুলি । এর পরে হয় তা আর বলবার সময় পাব না।” বড়দিদি তাহাকে কথা বলিতে নিষেধ করিলেন ; কিন্তু "সে কিছুতেই সে কথা শুনিল না। সে তখন ধীরে ধীরে সমস্ত কথা বলিল,-কলিকাতা হইতে পলায়নের পরামর্শ হইতে ২৭৯ ]