পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী তাহাকে একেবারে চুপ করিয়া থাকিতে দেখিয়া দীনেশ বলিল “সতীশ, তুমি যে একেবারে কথাটীও বলছি না।” সতীশ কাতর কণ্ঠে বলিল “দু’দিনের গাড়ীর ঝাঁকুনিতে শরীরটা যেন কেমন করছে ; মাথাটা ঘুরছে। কথা বলতে ইচ্ছে কাবুছে না।” দীনেশ তাহাঁই বুঝিল ; সে বলিল “আহা, তা হবে না। তোমাব তা আর ঘুরে বেড়ান অভ্যাস নেই। আমার জন্য তোমাকে কত কষ্টষ্ট করুত হলো সতীশ ।” সতীশ এ কথার অ্যার কোন উত্তর দিল না । দীনেশও আর কোন কথা বলিল না । একটু পরেই গাড়ীখানি সতীশের বাগানের গেট অতি - ক্রম করিল। সতীশ যে তখন কি করিবে, তাহা ভাবিয়া পাইল না । গাড়ী সিঁড়ির সম্মুখে দাড়াই বা মাত্র সতীশ তাড়াতাড়ি গাড়ী হইতে নামিয়া পড়িল এবং দীনেশকে কিছু না বলিয়া বরাবর বাড়ীর মধ্যে চলিয়া গেল ; বৈঠকখানাঘরে সে প্রবেশ করিল না ! দীনেশ মনে করিল, তাহদের আগমনংবাদ তাহার স্ত্রী ও সুশীলাকে দিবার জন্যই সতীশ তাড়াতাড়ি ভিতরে চলিয়া গেল। দীনেশ তখন গাড়ী হইতে নামিল ; ২৯৭ ]