পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী ধরিয়া কঁাদিতে লাগিল । সতীশের স্ত্রী আর দ্বারের পার্থে দাড়াইয়া থাকিতে পারিলেন না ; তখন তাহার লজ্জা করিবার সময় ছিল না । তিনি তাড়াতাড়ি বৈঠকখানার মধ্যে প্রবেশ করিয়া মনোরমার মস্তক কোলে তুলিয়া বসিলেন। সতীশও সেই সময় বৈঠকখানায় প্রবেশ করিল। সতীশকে দেখিয়া দীনেশের কথা বলিবার শক্তি আসিল ; সে কম্পিত্যুম্বরে বলিল “সতীশ, ভাই-সুশীলা নেই!” সতীশ বাড়ীর মধ্য হইতে হৃদয় দৃঢ় করিয়া আসিয়াছিল। সে বুঝিয়াছিল, এ সময়ে সে যদি দৃঢ় না হয়, সে যদি আত্মহারা হয়, তাহা হইলে চলিবে না। তাই সে অতি তীব্রস্বরে বলিয়া উঠিল “এই ত তোমার সুশীলা-একেই তোমার মেয়ে বলিয়া কোলে কর । তার কথা আর বলে না। ’ এ কি কথা ? সতীশ বলে কি ? সতীশের স্বল্প এত কর্কশ কেন ? দীনেশ তখন রাণীকে কোলের মধ্যে জড়াইয়া ধরিয়া একখানি চেয়ারে বসিয়া পড়িয়াছে ; তাহার দাড়াইবার *द्धि छिल भी । সতীশের কথা শুনিয়া দীনেশ তাহার মুখের দিকে কাতরনয়নে চাহিল। সতীশ কৃতসঙ্কল্প হইয়া আসিয়াছিল, সে ৩০১ ]