পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী বসিয়া পড়িল । মুহূর্ত্তের মধ্যে তাহার কঠোরতা কোথায় চলিয়া গেল ; সে বালকের মত “হা, হা’ করিয়া কঁাদিয়া উঠিল । সতীশের কথায় কাজ হইয়াছিল ; তাহার সেই কৰ্কশ, সত্যকথায় দীনেশের স্ত্রী মনোবামা নিজের দুর্বলতা বুঝিয়া লইয়াছিলেন । স্বামীকে দেখিয়া তাহার যে দুৰ্বলতা আসিয়াছিল, তাহা তখন চলিয়া গেল । তিনি তখন সতীশের স্ত্রীর কোল হইতে মাথা তুলিয়া উঠিয়া বসিলেন ; তাহার পর অতি কঠোরস্বরে বলিলেন “তুমি ঠিক বলেছ। ঠাকুর-পো, ঠিক বলেছ! আমাদের কোন মেয়ে ছিল না-সুশীলা ব’লে আমাদের কেউ ছিল না। --কথন ছিল না । ছিঃ, ছিঃ, যে বিধবা হয়ে ধর্ম্মরক্ষা করতে পাৱল না, যে চোরের মত বেরিয়ে গেল, সে কখনও আমার মেয়ে নয় । তার জন্য আবার দুঃখ কি ? তার জন্য আবার কষ্ট কি ? কিছু না । ওগো, তুমি মন স্বাধ। সব ভুলে যাও । এ সংসারে ঐ সতীশ বাবু আর এই লক্ষ্মা বৌটি, আর তোমার কোলের ঐ রাণী ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই। এদের মুখের দিকে চাও ; সে মুখ ভুলে যাও ; চল বৌ, আমরা বাড়ীর মধ্যে যাই । রাণী, তুমি তোমার জেঠ-মহাশয়ের কাছে থাক ।।’’ [ ܦ ܘ *.