পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী আমরা, দিতে পারিলেও, ভদ্রতা ও শ্লীলতার অনুরোধে शिव ना । শাস্ত্রে লেখা আছে, ‘নরাণাং মাতুলক্রমঃ’, অর্থাৎ, মানুষ মাতুলের ধারা অনেকটা পায়। হরিশ্চন্দ্রের পুত্র সুরেন্দ্রনাথ, অষ্টাদশ বৎসর বয়সেই, তাহার মাতুল তিনকড়ির সমস্ত গুণের অধিকারী হইয়াছিল। পিতার সুদৃষ্টাস্তের অনুসরণ করিয়া, সে, ষোল বৎসর বয়সেই, বিদ্যালয়ের পঞ্চম-শ্রেণী হইতে বিদায়ু-গ্রহণ করিয়াছিল। বুদ্ধিমান ও জ্ঞানবান পিতা, “প্রাপ্তে তু ষোড়শে বর্ষে পুত্রমিত্রবদাচারে', এই মহাবাক্যের সম্মান-রক্ষার্থ, পুত্রকে কিছু বলিলেন না ; বরঞ্চ “মিত্রবদাচারেৎ’ই করিতে লাগিলেন । হরিশ্চন্দ্রের শ্যালক, তিনকড়ি, নাকি তাহাদের গ্রামের স্কুলের তৃতীয়-শ্রেণী:পর্য্যন্ত অধ্যয়ন করিয়াছিল । তাহার পর, সে যখন, তাহার একমাত্র আপনার-জন, বিধবা বড়দিদিকে সঙ্গে লইয়া, তাহার ছোট-দিদির স্বন্ধে ভর করিল। এবং ভগিনীপতি, ও তস্য পিতার, উপাৰ্জনের অন্ন অমানবদনে ংস করিবার মৌরসী অধিকার পাইল, তখন আর অধিক পড়াশুনার প্রয়োজন অনুভব করিল না। ভগিনীপতির २७ }