পাতা:অভিমানিনী.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ ৷৷ অভিমানিনী যেখানে নৌকাডুবি হয়, তার সাত আট ক্রোশের মধ্যে কেউ নয়। পরে থানায় গানায় খবর দিয়েছিলুম। তাতেও বিশেষ কিছু ফল হয়নি। তাই তাকে নিজের মেয়ের মতই পালন করেছি। আমার স্ত্রী ছাড়া এতদিন আর কেউ জানত না যে নীহার আমার মেয়ে নয়। নীহার নিজেও একথা জানে না। আর সত্যি কথা বলতে কি, নীহার আমার । মেয়ের চেয়েও বেশী । তুমি তাকে বিবাহ করতে চাচ্ছি। তোমার কাছে একথা গোপন করা চলে না । আমাদের সমাজে হ’তে পারে, কিন্তু তোমাদের সমাজে অজ্ঞাতকুলশীলা কন্যাকে কেহ গ্রহণ কৰূবে কি? একথা শুনে তোমারই আর তাকে গ্রহণ করতে ইচ্ছা হবে কি ? তোমার আত্মীয়স্বজনরা তাকে গুহে স্থান দেবে কি ? এটা নিশ্চয় জেন, নীহার আমার মেয়ে না হ’লেও, তার ষাতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় তা আমি কখনও টুতে দেব না।” সীতাপতির চিন্তার অবধি ছিল না । সে রুক্মিণীবাবুর নিকট কোন অর্থ বা সাহায্য প্রত্যাশায় নীহারিকে বিবাহ করিতে চাহে নাই। নীহারের নিজের রূপ গুণেই তাহাকে ভাল বাসিয়াছিল । কিন্তু তাহার আশা ছিল, রুক্মিণীবাবুর মত পদস্থ সন্ত্রান্ত ব্যক্তির সহিত কুটুম্বিতা স্থাপনে হয়ত তাহার পিতামাতা, অন্ততঃ হৃদয়বাবু রাজী ঠাইলেও হইতে পারেন। কিন্তু যার জাতির ঠিক নাই, পিতৃপরিচয়, বংশপরিচয় জানা নাই, তাহাকে গ্রহণ করিতে যে কেহই রাজী হুইবে না, একথা সে নিঃসন্দেহে বুঝিতে পারিল । রুক্মিণীবাবুকে ব্ললিল “আমায় কিছু দিনের সময় দিন । আমি নিজে নীহারিকে বিবাহ করতে প্রস্তুত । তবে আমার আত্মীয় স্বজনের মত জানতে কিছু সময়ের দরকার ত’বে।” রু । খুব ভাল কথা। যতদিন সময় চাও, ততদিন সময় নাও। যত BB KB KD YBDD DBKS SsBYYY LBBDS DYYu DD D DkBL