পাতা:অভিমানিনী.djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

x\სზ . অভিমানিনী সেবা করিবে তাহা সে বুঝিতে পারিতেছিল না। ষে সঙ্কল্পের বশে সে দৃঢ়চিত্তে রুক্মিণীবাবুর বাড়ী ত্যাগ করিয়া সমস্ত দুঃখ কষ্টকে “বিষ্ণু করিতে আসিয়াছিল, এই গৃহে প্রবেশ করিয়া একদিকে যেমন তাহাব মনে হইল যে, সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছো-কর্ত্তব্যের খাতিরে সে সব করিতে পারিয়াছে, অপরদিকে, তেমনি তাহার মন অবসাদ ও নৈরাশ্যে । পূর্ণ হইয়া গেল। এতক্ষণ একটা কাজ আছে মনে করিয়া উত্তেজিত ভাবে সে সেই কাজের পিছনে ছুটিতেছিল, এখন সেই কর্ত্তব্য কাজটা সমাধা হইয়া গিয়াছে। তাই তাহার শরীর ও মানও সঙ্গে সঙ্গে অসাড় হইয়া গেল। আদ্র অন্ধকারময় কুটীরের মধ্যে সে নিম্পন্দভাবে বসিয়া রহিল। তাহার জীবনের সার্থকতা যেন ফুরাইয়ু গিয়াছে। এই তাহার স্বামী, ইহার সহিত তাহাকে একত্র থাকিতে তইবে, এ কথা সে ভাবিতে পারিতেছিল না । সে ত এ আকর্ষণে বাহির হইয়া আসে নাই। এ কথা ভাবিলে হয় ত সে আসিতেই পারিত না। রুক্মিণীবাবুকে, রুক্মিণীবাবুর পত্নীকে, হিরন্ময়ঞ্চে-আর-আর সীতাপতিকে ছাড়িতে হইবেযেমন করিয়া হউক ছাড়িতেই হইবে-এই কথাই সেবার বার ভাবিয়া এতক্ষপী নিজ উদ্ধত মনকে কশাঘাত করিতেছিল । সেই কশাঘাতে উত্তেজিত মন ও অন্ধ অশ্বের মত এতক্ষণ এক পথে ছুটিয়া আসিয়াছিল। এখন অতলস্পর্শ গহবরে পড়িয়া গেল। উদ্ধারের আর উপায় নাই ! নীহারের স্বামী ঘরের এক কোণ হইতে তামাক, হক, কলিকা, দিয়াশলাই সংগ্রহ করিয়া, ইতিমধ্যে এক স্থিলিম তামাক সাজিয়া ফেলিয়াছিল ও ঘর হইতে বাহিরে গিয়া অপর ঘরখানির দাওয়ায় বসিয়া নিশ্চিন্ত মনে ধূমপান করিতেছিল। তাহার মুখের ভােব প্রসন্ন। কি একটা কঠিন কাজ যেন উদ্ধার করিয়া ফেলিয়াছে, এই ভাবে রহিয়া বসিয়া, ইন্দু একবার কাশিয়া, মাঝে মাঝে থুথু ফেলিয়া, চক্ষু ঈষৎ মুদ্রিত করিয়া