পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R) ) ) অভিযান্ত্রিক -একটু একটু জানি, সামান্য । মানে খুব ভালোরকম নয় । --কিছুই জানেন না। আপনি রায়ার । আমি চুপ করে রইলাম। বিদ্যে যেখানে ধরা পড়ে গিয়েচে সেখানে কথা বলা সঙ্গত নয় । দুদিন আমি তাদের বাড়ি ছিলাম । ভদ্রমহিলা চারবেলা কেবল আমার রায়ার জায়গায় দাড়িয়ে যে আমার রায় দেখিয়ে দিতেন। তাই নয়, তিনি শুধু হাড়িটা ছুতেন না, বাকি কাজ সব নিজের হাতেই করতেন, তরকারিতে মশলা মাখানো, তরকারি হাড়িতে ছেড়ে

  • Gve98-—s7K !

তিনি গৃহস্বামীর বিধবা কন্যা, যেমন শাস্ত তেমনি স্নেহময়ী ও কর্তব্যপরায়ণা। আমি তঁাকে দিদি বলে ডেকেছিলুম। তিনিও আমার ওপর ছোট ভাইয়ের মত ব্যবহার করেছিলেন যে-দুদিন তঁদের ওখানে ছিলাম । আমার ভ্রমণপথে আর একটি মহিলার সাক্ষাৎ পেয়েছিলুম সেকথা যথাস্থানে বলবো । ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নোয়াখালি রওনা হই দুপুরের ট্রেনে । এখানে এসে স্থানীয় জনৈক উকিলবাবুর বাডিতে উঠি । এক একটা জায়গা আছে যা মনের মধ্যে অবসাদ ও অস্বস্তির স্বষ্টি করে, নোয়াখালি সেই ধরনের শহর । হয়তো এখুনে একটি দিন মাত্র থেকেই চলে যেতাম। কিন্তু যে ভদ্রলোকের বাড়ি গিয়ে উঠেছিলাম। তিনি আমায় যেতে দিলেন না । তার আতিথেয়তাৱ কথা আমার চিরদিন স্মরণে থাকবে । ভদ্রলোক নোয়াখালি ‘বারে’র একজন বড় উকিল, তেঁর বাড়ি যেন একটি হোটেলখানা। বাইরের দিকে এক সারি টিনের ঘরে কয়েকটি দরিদ্র স্কুলের ছাত্র থাকে, ভদ্রলোক তাদের শুধু যে খেতে দেন তা নয়, ওদের সমুদয় খরচ