পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

è yr অভিযান্ত্রিক হাই স্কুলে আমার এক বন্ধু হেডমাস্টার, অনেকদিন তার সঙ্গে দেখা হয়নি, বিদেশভ্রমণের সময় পরিচিত বন্ধুজনের দেখাসাক্ষাৎ বড় আনন্দদান করে, সেজন্যে ঠিক করেছিলাম ঢাকা যাবার পথে বন্ধুটির ওখানে একবার যাবে। নরসিংদি বেশ বড় গ্রাম, তবে স্কুলের জায়গাটি কিছু দূরে, গ্রামের বাইরে মাঠের মধ্যে স্কুল। আমি যখন গিয়ে সেখানে পৌছুলাম--তখন বেলা প্রায় এগারোটা । একটি ছাত্রকে জিগ্যেস করতে, বললে হেডমাস্টার বাবু এখন ক্লাসে আছেন । ছেলেটিকে বললুম, আমি এখানে অপেক্ষা করচি, তুমি হেডমাস্টার বাবুকে গিয়ে বল তার একজন বন্ধু দেখা করতে এসেচে । কিছুক্ষণ পরে দেখি আমার বন্ধু ছেলেটির পিছু পিছু আসচেন । এ ভাবে এই দূর প্রবাসে আমাকে হঠাৎ দেখে তিনি খুব খুশি। বললেন, তার পর, কোথা থেকে এলে হে ? আমি কি ভাবে ঘুরতে ঘুবতে এখানে এসে পডেচি, তা সব খুলে বসলাম । বন্ধু বললেন।--বেশ ভালো, ভালো । এখানে যখন এসে পডেচ কিছুদিন থাকে । কলকাতা থেকে এসে একেবারে হঁাপিয়ে পড়েচি হে-- আজি দুবছর এই “গড-ফরসেকন’ জোয়গায় যে কি কষ্টে আছি তা আর কি বলবো ! একটা লোকের মুখ দেখতে পাইনে --সুন্দরবনে বাস করেচে। নাকি ? এত লোকের মধ্যে থেকে ও লোকের মুখ দেখতে পাওনা কি রকম ? আজি পাড়াগাঁয়ের স্কুল। পূর্ববঙ্গের একটি ক্ষুদ্র গ্রাম-স্কুলের শিক্ষক র্যার } সকলেরই বাড়ি এখানে, হেডমাস্টার আর হেড পণ্ডিত এই দুজন মাত্র বিদেশী। আমার বন্ধুটি ছাত্র জীবনে পড়াশুনোয় ভালো ছিলেন, খুব স্মািট, ভালো ক্রিকেট খেলোয়াড়, চেহারাও খুব সুন্দর। এহেন স্টাইলবাজ, স্বপুরুষ, ইংরেজিতে উচু সেকেণ্ড ক্লাস পাওয়া ছেলে