পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

অভিবান্ত্রিক O বন্ধুটির চেয়েও এই লোকটি আমার আপনার জন হয়ে উঠেছে এই ক’দিনে । বললুম-আপনি কলকাতার দিকে আসুন না কেন ? --কি যে বলেন বাবু, খেতেই পাইনে তার কোথা থেকে ভাড়া জোগাড় করে কলকাতায় যাবো ? আমার এক মাসের মাইনে । আর কলকাতায় গিয়েই বা আমার মতো নর্মাল পাশ পণ্ডিত কত টাকা মাইনে পাবে ? কথাটার মধ্যে যুক্তি ছিল । সুতরাং চুপ করে রইলুম। আমরা স্কুলের কাছে পৌছুতেই কতকগুলি ছেলে আমাদের আলো হাতে এগিয়ে নিতে এল । ওরা আমাদের স্কুলের হলে গেল নিয়ে । সেখানে গিয়ে দেখি মহাকাণ্ড । খুব রান্নাবান্না চলেচে । বন্ড ডেকে পোলাও চড়েচে, প্রকাণ্ড দুটো বন্ড মাছ কোটা হচ্চে, আবও দুডেক পোলাও রাধাবার মালমশলা ডালায় । ছেলেদের উৎসাহ ছাপিয়ে উঠচে মাস্টারদের উৎসাহ-তারা নিজেরাই ছুটোছুটি করে রান্নার তদারক কারচেন, কোথায় খাওযার পাত পাতা হবে। তাব ব্যবস্থা কারচেন-ইত্যাদি । আমায় ঘিরে কযেকজন মাস্টার এসে দাড়ালেন । একজন বৃদ্ধ শিক্ষক বললেন-আপনাকেই খুজিচি-কোথায় গিয়েছিলেন ? ক’দিন এসেচেন, আমাদের মাস্টারবাবুর পরম বন্ধু আপনি, DD LD DuBB BDK BBDL DOJYYAAS আমি ডুইং মাস্টারকে দেখিয়ে বললুম-এর বাডি চায়ের নিমন্ত্রণ ছিল-আমাদের হবানাথের বাডি ? বেশ বেশএই রকম একটি অপরিচিত স্থানে আমি সেদিন যে আন্তরিক আপ্যায়ন, হৃদ্যতা ও সমাদর লাভ করেছিলাম, তা জীবনে কখনো ভুলবারে নয় । অথচ আমার সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের সম্পর্ক নেই কোনো দিক দিয়েই -আমায় খাতির করে তঁদের লাভ কি ?