পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See We भाछियाकि আমায় ও আমার বন্ধুটিকে মাঝখানে নিয়ে ওঁরা খেতে বসলেন। কত রকম গল্পগুজব, হাসিখুশি। একজন শিক্ষক বললেন-আমাদের দেশ কেমন লাগলো আপনার ? -বড় ভালো লেগেচে, পূর্ববঙ্গের লোকের প্রাণ আছে । --সত্যই তাই মনে হয়েচে আপনাব নাকি ? --মনে হয়েচে তো বটেই-আমি সে কথা শুধু মুখে বলচিনে, একদিন লিখবো । --আপনার লেখাটেখা আসে ? -ইচ্ছে করে লিখতে, তবে লিখিনি কখনো ! আপনাদের এই আদর-আপ্যায়ন কোনোদিন ভুলবো না, একথা আমার মনে রইল-সুবিধে। হ’লে সুযোগ পেলে লিখবোই । তারা সবাই মিলে আমার বন্ধুর নানারকম সুখ্যাতি করলেন আমার কাছে। হেডমাস্টার বাবুর ইংরিজি প্রায় সাহেবের মতে- আমন ইংরিজি বলবার বা লিখবার লোক তঁরা কখনো দেখেননি-ইত্যাদি । পরদিন আমি সকলের কাছ থেকে বিদায় নিযে ওখান থেকে চলে এলুম। প্রসঙ্গাত্র মে উল্লেখ করি, আমার এই বন্ধুটি তারপর ওপানকার কাজ ছেড়ে দিয়ে বি, টি, পন্ডিতে আসেন কলকাতায় এবং ভালো করে বি, টি, পাশ করে কি রকম কি যোগাযোগে বিশ্ববিদ্যালফোিব বুক্তিলাভ করে বিলেত যান । বর্তমানে ইনি শিক্ষাবিভাগেব এক জন উচ্চপদস্থ কর্মচারী। বছর-দুই পরের কথা । ভাগলপুরে ‘বিড বাসা’ বলে খুব বড় একটা বাডিতে থাকি কার্যোপলক্ষে, কেশোয়ামজীর চাকরি তখন অনেকদিন ছেড়ে দিয়েচি ।