পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o छिंबंॉक একটি শুল্লামবর্ণ মেয়ে এই সময় একখানা থালাতে প্রায় আধা কাঠােট খানেক মুড়ি, একটা ছোট বাটিতে পোয়াটাক আখের গুড়, অনেকখানি নারকেল কোরা নিয়ে এল । গুরুমশায় বললেন---এই এদের সামনে রাখা মা-এই আমার ছোট মেয়ে, এই চোদ হ’ল, এর ওপরে দুই দিদি-য> চায়ের কতদূর হ’ল দেখা গে-না না ও হবে না- একটু মুখে দিতেই হবে-গরিবেয়া বাড়ি, আপনাদের উপযুক্ত নয়-পাড়াগা জায়গা । তখন নীরদ মুড়ি নারকেল কোরার বৈজ্ঞানিক ভিটামিনতত্ত্ব বুঝিয়ে দিয়ে প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো যে, এমন চমৎকার পুষ্টিকর জলযোগ খহুদিন আমাদের অদৃষ্ট জোটেনি। মেয়েটি আবার চা নিয়ে এল। --- এইখানে রাখা মা, হয়ে গেলে অমনি ফুটি পান আনবি-আরূঢ় ¶mb %፫ቂ የ••• a-আজো না, এই খেয়ে ওঠা দায়, এ কি কম দেওয়া হয়েচে ? জলযোগ সবে শেষ হ’ল। মেয়েটি কৌতুহলের দৃষ্টিতে আমাদের দিকে চেয়ে ছিল এতক্ষণ। গুরুমশায় বললেন-এর নাম কমলা-এইটি €ময়ের মধ্যে খুব বুদ্ধিমতী । বাংলা যে কোনো বই পড়তে পারে, এর দিদিয়া লেখাপড়া জানে, না-পড়াশুনোর ঝোক খুব এর-কেবল বই পড়তে চাইবে, তা আমি কোথা থেকে নিত্যি নতুন বই দিই বলুন । আমার হাতে একখানা কি মাসিক পত্র ছিল, ট্রেনে পড়বার জন্মুেক্ত এনেছিলুম-মেয়েটিকে ডেকে সেখানা তার হাতে দিয়ে বললুম-এখানা। প’ড়ো তুমি । নীরদ পিতাপুত্রীর অলক্ষিতে আমার গায়ে একবার চিমটি কাটলে । আমার তখন বয়েস তেইশের বেশি নয়-মেয়েটি চোদ্দ বছরের } মেয়েটি আমার হাত থেকে সেখানা নিয়ে নম্রমুখে একটু হাসলে * অষ্টায়পায় আমাদের থালা ও কাপগুলি নিয়ে চলে গেল । গুরুমশায় উচ্ছসিত হয়ে বলেন-বইখানা দিয়ে দিলেন ? বেশ ভালো