পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক Sh কোথাও তেমন গাছপালা নেই। গ্রামের কাছে তাল গাছ, দু একটা আম-' বাগান আছে বটে। কিন্তু তার তলায় কোনো আগাছা নেই, শুকনো পাতা পর্যন্ত পড়ে নেই, এদেশে জালানি কাঠের অভাব, মেয়ের ঝুড়ি ভরে জ্বালানির জন্যে শুকনো পাত কুড়িয়ে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের শুষ্কামল বনশোভা এখানে একান্ত দুলভ ।। আছে। কেবল বিহারের সেই একঘেয়ে সীসম গাছের সারি। পথের দুধারে কোথাও ছায়াতরু নেই, খররৌদ্রো পথ হাটতে কেবলই তৃষ্ণ পায়। দুজনে ঠিক করলুম বস্তির ইদারা থেকে জল পান করা স্বাস্থ্যসম্মত হবে না, এ সব সময়ে বিহারের পল্লীতে কলের প্লেগ ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব ঘটে । সাবধান থাকাই ভালো । এবার পথের পাশে ছোট ছোট গাছপালা দেখা গেল । একটা কথা বলি, বাংলা দেশে যাকে “ঝোপ” বলা হয়, সে ধরনের বৃক্ষলতার নিবিড়সমাবেশ বিহারে কচিৎ দেখা যায়, দক্ষিণ বিহারে তো একেবারেই নেই, বরং উত্তর বিহারের বড় নদীর ধারে বাংলাদেশের মতো ঝোপ অনেক দেখোঁচি বাংলাদেশের ঝোপের একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে, এমনটি আর কোথাও দেখিনি । আমাদের জেলায় আমি জানি এমন অদ্ভুত ধরনের সুন্দর ঝোপ আছে, যার মধ্যেকাব নিবিড ছায়ায় গ্রীষ্মের দিনে সারাবেল বসে কাটানো যায় নানা অলস স্বপ্নে । প্রধানত ঝোপ খুব ভালো হয় কেয়োঝাঁক ও ষােডা গাছের । কেয়োঝাকা মোট কাঠের গুডি যুক্ত গাছ হ’লেও লতার মতো একেবেঁকে ওঠে ও বিস্তৃত হয়ে পড়ে ৬, এর পাতাগুলো মাপমলের মতো নরম, মসৃণ, শাসিালে এবং অত্যস্ত সবুজ ! কেয়োবাকের স্বভাবই ঝোপ সৃষ্টি করা, যেখানে যে অবস্থাতেই থাকি জঙ্গলে-কারণ কেয়োঝাঁকা বনের গাছ, যত্ন করে। বাড়িতে কেউ কখনো পোতে না-একেবেঁকে উঠে ঝোপ সৃষ্টি করবেই। আর কী সে ঝোপের নিবিড়, শাস্ত আশ্রয় । ষাড়া গাছও এ রকম ঝোপট