পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«Rötlifწitar -te আমরা পাহাড়ের মাথায় উঠে দেখি আমাদের সামনে দিয়ে পথটা আবার নিচের উপত্যকায় নেমে গিয়েচে । আমরাও নামতে লাগলুম সে পথ ধরে । একেবারে উপত্যকার মধ্যে নেমে এলুম। যখন, তখন চোখে পড়লো। ওদিকে আর একটা পাহাড়শ্রেণী, এর সঙ্গে সমস্তরাল ভাবে চলে গিয়ে চে, মধ্যে এই বনাকীর্ণ উপত্যক-বিস্তুতিতে প্রায় দু-তিনশো গজ হবে। শালরনের মধ্যে ক্ষুদ্র একটি পাহাড়ী নদী রাঙা বালির ওপর দিয়ে বয়ে চলেচে-পায়ের পাতা ডোবে না। এত অগভীর । হেমেন জল খাবেই, আমি নিষেধ করলুম। বিশ্রাম না করে জলপান করা যুক্তিযুক্ত হবে না। বরং তার আগে স্নান করে নেওযা যাক । কিন্তু স্মান করি কোথায় ? অত অগভীর নদীর জলে সুসান করা চলে না ; হেমেন বললে-তুমি বোসো, আমি বনের মধ্যে কিছুদূর বেড়িয়ে দেখে আসি, জল কোথাও বেশি আছে কিনা--- বেলা ঠিক একটা, ঝাঁ ঝাণ করাচে খর রোদ, কঁচা শাল পাতা বিছিয়ে বনের ছায়ায় শুয়ে পডলুম-যেমন ক্ষুধা, তেমনি তৃষ্ণা, দুইই প্রবল হয়ে উঠোঁচে। অদ্ভুত ধরনের নির্জনতা এ উপত্যকার মধ্যে-এরই নাম কাজরা ভ্যালি বোধ হয়--কেই বা বলবে এর ওই ইংরেজী নাম কি না ? হেমেনকে এক ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি, কারণ এমন নির্জন মনুষ্যবসতিশূন্য স্থানে বন্যজন্তুর আকস্মিক আবির্ভাব বিচিত্র কি ? কেউ কোথাও নেই, এই সময় একা বনচ্ছায়ায় শায়িত অবস্থায় এই উপত্যকার সৌন্দর্য ও নিবিড় শাস্তি ভালো করে আমার মনে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে গেল। এইখানে ‘‘বুদ্ধ নারিকেল” ( Stairculia Alata ) নামে সুবৃহৎ বনস্পতি প্রথম দেখি-তারপর অবিশিষ্ঠ মধ্যভারতের অরণ্য-প্রদেশে এই