পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 & • खाडिलक्षांख्रिश्क তারপর তিনি নিজের জীবনের অনেক কথা বলে গেলেন। ওঁর কথার মধ্যে একটি সতেজ, সজীব নারীমনের পরিচয় পেয়ে আমি ও আমার বন্ধু দুজনেই যেন এক নূতন জগৎ আবিষ্কারের আমন্দ অনুভব করলুম, ভেবে দেখলুম। এই সন্ন্যাসিনীর যদি বয়স_আরও কম হ’ত। তবে এর জীবনের ইতিহাস শুনে আমরা অন্তত মনে মনেও এর প্রেমে না পড়ে পারতুম না-সেই বয়সই ছিল আমাদের। হেমেন বললে, আপনাকে এ বনে খাবার-দাবার কে এনে দেয় ? --কিউল থেকে আমার শিষ্যরা আসে, ওরাই নিয়ে আসে, হাপ্তায় দুদিন । --আপনি সত্যিই অদ্ভুত মেয়ে। এ রকম মেয়ের সাক্ষাৎ বেশি পাওয়া,

  • ाँ माँ !

--কিছু না, পরমাত্মা যখন ডাকেন, তঁর সব কাজ তিনিই করিয়ে নেন । আমি বিধবা হয়ে একমনে তাকে ডেকেচি, ঘরের বাইরে আসবার চেষ্টা করেচি যে কত ! সংসার আদৌ ভালো লাগতো না, বাইরে বেরুতে ইচ্ছে থাকতো কেবল ।। জপ তপ করবার কত বাধা সংসারে ! আমি, “আমাদের বেগুসরাইয়ের বাড়ির পিছনে ছোট একটি তেঁতুল গাছ আছে, কাছেই কিউল নদী আমি বললুম, বেগুসারীই মহকুমা ? সেখানে তো-এই লক্ষ্মীসরাইয়ের কাছে বেগুসারাই, ছোট্ট গা-কিউল নদীর ধারে । তারপর শোনো ছেলেরা, কিউল নদীর ধারে সেই তেঁতুল গাছের কাছে বসে বসে কতদিন ভগবানকে ডেকেচি যে, আমার একটা উপায় করে দাও, সংসার আমার বড় খারাপ লাগচে । ভগবানকে ডাকলে তিনি শোনেন । --কি করে জানলেন ? -আমি প্রত্যক্ষ ফল পেয়েচি-একমনে ডাকলে না। শুনে তিনি থাকতে পারেন না !