পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক ed সামনে একটা ক্ষুদ্র বস্তি পাওয়া গেল, তার নাম গোকর্ণটোলা, সে যুগের নামের মতো শোনায় যেন । একজন বৃদ্ধ লোক ইন্দারার পাডে স্নান করচে, তাকে আমরা বললুম, এখানে কিছু খাবার কিনতে পাওয়া যায় ? বৃদ্ধ ঘাড় নেড়ে বললে-না । আমরা চলে যাচ্চি দেখে সে আবার আমাদের পিছু ডাকলে । যদি আমরা কিছু মনে না করি, কোথা থেকে আমরা আসচি, সে কি জিগ্যোস করতে পারে ? --কাজরা ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আশ্রম থেকে । -পুণ্য করে আসচেন বলুন 一枣死511 --বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের ? -58353 --ভাগলপুর থেকে বাংগালি বাবুরা আমার ছেলেবেলায় অনেক আসতেন আশ্রম দেখতে । এখন আর আসেন না। আপনারা আসুন আমার বাডিতে এবেলা থাকবেন। বড খুশি হবে। কারো বাডি গিয়ে ওঠা। আমাদের ইচ্ছে ছিল না-কিন্তু যখন এসব স্থানে দোকান-পসার নেই, অগত্যা রাজি না হয়ে উপায় কি । বস্তির মধ্যে যাবার আগ্রহ আমাদের কারো ছিল না । বিহারের এই সব গ্রাম্য বস্তি অত্যন্ত নোংরা, গায়ে গায়ে চালে চালে বসন্ত, গ্রামের প্ল্যান নেই।--দিগন্তবিস্তীর্ণ প্রান্তরের মধ্যে একটুখানি জায়গা নিয়ে কতকগুলো প্রাণী পরস্পরকে জড়া জড়ি করে তাল পাকিয়ে আছে যেন । ফ্যাক ফাক হয়ে ছড়িয়ে বাস করার বাধা কিছুই ছিল না, এ রকম অবাধ মুক্ত মাঠের