পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A Ripo “যুক্তি নয়, ও জঙ্গল দুরে দেখা যায়-ওই হ’ল ঋষ্যশৃঙ্গ আশ্রমের সেই পাহাড়-কিন্তু ই আই রেলওয়ের মেন লাইনের কোনো স্টেশনে নেমে সেখানে যাবার রাস্তা নেই-লুপ লাইনের কাজরা স্টেশন ছাড । মস্ত বড় একটা তীর্থস্থান না হ’লে, যে কষ্টট হবে তার অনুপাতে পুণ্য কতখানি অর্জন করে আনতে পারা যাবে, সেটা খতিয়ে না। বুঝে-- শুধুমাত্র প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখবার লোভে লোকে অত কষ্ট স্বীকার করে না। ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আশ্রম অত প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান নয়। কে শুনেচে ওর নাম ? কিন্তু গৈবীনাথে যাতায়াতের সুবিধে খুব-স্টেশন থেকে দুপা হাটলেই হ’ল ! গঙ্গাগর্ভে পাহাড়, তার ওপরে শিবমন্দির-এর কাছে ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আশ্রম-টাগ্রামের তুলনা হয় ? বিশেষ করে, যেখানে যেতে হয় জঙ্গলের মধ্যে তেরো মাইল রাস্তা ভেঙে ? গৈৗৰীনাথ মন্দিরে আমি আরও দুবার গিয়েচি, একবার আমার ভগ্নী জাহ্নবী ও আমার ভাই কুটু সঙ্গে ছিল-ভাগলপুরের প্রসিদ্ধ উকিল দেবতাবাবুও সেবার ছিলেন আমাদের সঙ্গে । প্রথমদিন এক গিয়ে যে অনুভূতি ও আনন্দ পেয়েছিলুম-ঠিক সে ধরনের মানসিক অভিজ্ঞতা অন্য অন্য বার হঘনি । আমি গিয়ে প্রণাম করে বললুম-বাবাজী, আশীৰ্বাদ করুন। } সাধু হিন্দীতে বললেন-বেঁচে থাকে। বাবা । --আপনি এখানেই থাকেন ? --না, মাস-দুই এসেচি --তবে কোথায় থাকেন ? -কন্যা-কুমরিকা থেকে উত্তরে বন্দরী-বিশাল পর্যন্ত সব তীর্থস্থানেই আমার যাতায়াত ৷ তেরো বার বদরী-বিশাল গিয়েচি । আমাদের আসবার কি ঠিক আছে কিছু।” এখন এখানেই আছি ।