পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

UR অভিযাত্রিক -স্বস্থানটি উত্তর-বিহারের অন্তৰ্গত, সুতরাং বাংলাদেশের মতো অনেকটা শুঞ্জামাল প্রকৃতির। এক জায়গায় পথের ধারে এমন নিবিড় বৃক্ষরাজির সমাবেশ যে, সত্যিই বাংলাদেশে আছি বলে ভ্রম হয় । সময় ছিল দুপুরের কিছু পরে । আমি গাছতলায় একটুখানি বিশ্রাম করচি, এমন সময়ে রামশিঙা বেজে উঠলো কোনো দিকে । আমার সামনে দিয়ে দু-তিনটি গ্রাম্য লোক পেতল ও র্কাসার কানা-উচু থালা হাতে বনের ওপাবে কোথায় যাচ্চে দেখে তাদের একজনকে বললুমকোথায় শিঙে বাজচে হে ? একজন আঙুল তুলে দেখিয়ে বললে-রামজীর মন্দিরে। নদীর ধারে -আমর সেখানে প্রসাদ আনতে যাচি-ভোগের সময় শিঙে বাজে রোজ । আমিও ওদের সঙ্গে গেলাম। নদীর স্থানীয় নাম বুঢ়ল নদী-আমাদের কাটিগঙ্গার খালের চেয়ে যদি কিছু বন্ড হয । তার ধারে অতি সুন্দর স্থানে আশ্রম ও দেবমন্দির । মন্দিবের কারুকার্য সাধারণ গ্রাম্য স্থপতির পরিকল্পিত, এই একই গন্ডনের মন্দিব উত্তর-পূর্ব বিহাবের প্রায অনেক গ্রামেই দেখতে of G3 Jf3 ক্ষুদ্র মন্দির, কিন্তু মন্দিরসংলগ্ন জমি আছে অনেকটা-নদীর ধারে সুন্দর ফুলবাগান, সমস্ত স্থানটি ভারি পবিস্কার-পরিচ্ছন্ন । একজন বুদ্ধ মোহান্ত মন্দিরে থাকেন, তিনি আমায় প্রসাদ খেতে আহবান করলেন । আমি দ্বিকাক্তি না করে সম্মতি জানালাম । তিনি আমাকে আদর করে ডেকে নিয়ে গিয়ে বসলেন । BDD DDDDJSAq BDBD BBBS -অনেক দিনের বাবা, আমিই তো এখানে আছি পচিশ বছর । --কে স্থাপন করেছিল মন্দিরটি ? --দ্বারভাঙার মহারাজ তার জমিদারী বেডাতে এসে এই জায়গাটি বড়