পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

অভিযাজিক yo A পখে চলেচি কি না। সে বললে কডড ঘুরা-পথে যাচ্চেন বাবুজি, এই মাঠের মধ্যে দিয়ে যান, শীগগির পৌছোবেন । তার কথা শুনে মাঠের রাস্তায় নেমে আমরা আরও ভুল করলাম। পথ ভীষণ খারাপ, চাষী-মাটির ওপর দিয়ে আল ডিঙিয়ে, খান-ডোবা পায় হয়ে মাইল-তিন এসে আমার দুই পায়ে ফোস্কা পডলো, আমি আর হাটতে পারি নে-অথচ এদিকে দিগম্ভবিস্তীর্ণ প্রান্তর সামনে, একটা গোটা টাউন তো দূরের কথা, একখানা খোলার ঘরও নেই মাঠের কোনো দিকে । আমি বললাম-অ্যার হাটতে পারাচিনে অম্বিকাঅম্বিক ভরসা দিলে, আর একটু পরেই আমরা বঁকা পৌছে যাবে। এবং সেখানে ওর এক উকিল-বন্ধুর বাড়ি আশ্রয় নিলেই সব ঠিক হয়ে भद । আরও দু-ঘণ্টা হাটবাব পরে আমি একটা গাছতলায় বসে পড়লাম । আমার চলবার শক্তি লুপ্ত হয়েচে । আমিই হেঁটে দেশ-বিদেশ বেডাবার বড় উৎসাহ দেখিয়েছিলাম, আমার প্ররোচনাতেই অম্বিক আমার সঙ্গে হেঁটে বেডাবার জন্যে বার হয়েচে, এখন দেখা গেল আমি একেবারে হাটতে পারিনে, মুখে যত বলি কাজে তার কিছুই করবার সাধ্য নেই আমার । অম্বিক পন্ডে গেল বিপদে । সে এখন আমায় নিয়ে কি করে ? বেলা প্রায় একটা বাজে । আমায় সে ঘাডে করে নিয়ে যেতে পারে না বঁকা পর্যস্ত, অথচ সত্যিই পা ওঠাবার শক্তিটুকুও নেই আমার । আমি বললাম-অম্বিকা, বঁকা থেকে একখানা গাডি নিয়ে এস গিয়ে, আমি এখানেই থাকি । অম্বিক যেতে রাজি নয় । আমায় এ অবস্থায় ফেলে সে কোথাও R