পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SvI ख्धछिश्क्लिक বন্ধু আপত্তি করলে। সে শুনেচে লছমীপুর ছাড়িয়েই দশ-বারো মাইল বিস্তৃত জঙ্গল, সে পথে হেঁটে যাওয়া বড় বিপজনক, আমাদের যাওয়া উচিত हgद कर ! আমি তার কাছে আরাকান ইয়োমার জঙ্গলের কথা বললুম। তার চেয়ে বেশি জঙ্গল আর কি হবে। লছমীপুরের প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা ভাগলপুরে থাকতে অনেকের মুখে শুনেচি। এতদূর যখন এসেচি, লছমীপুর দেখে যাওয়াই ভালো । অনেক স্নাত পর্যন্ত কথা-কাটাকাটির পরে অম্বিকাকে রাজি করানো গেল। পরদিন খুব ভোরে উঠে আমরা নদীয়াৰ্চাদবাবুর কাছে বিদায় নিয়ে লছমীপুর রওনা হবার জন্যে বঁ-দিকের বনপথ ধরলাম। তখন সবে সূর্য উঠেচে। সত্যিই পথটির দৃশ্য চমৎকার। এই প্রথম রাঙা মাটি চোখে পড়লো-উচুনিচু জমি, শাল ও পলাশ গাছের সারি, মাঝে মাঝে দু একটা বট গাছ । নানা জায়গায় বেডিয়ে আমার মনে হয়েচে, বট গাছ যত বেশি বনে, মাঠে, পাহাডের ওপর অযত্নসভূত অবস্থায় দেখা যায়, অশ্বখ তেমন নয় । বাংলার বাইরে, বিশেষ করে এই সব বন্য অঞ্চলে অশ্বখ তো আদৌ দেখেচি বলে মনে হয় না- অথচ কত বন-প্রান্তরে কত পাহাড়েষ্য মাথায়, সঙ্গিহীন সুপ্রাচীন বট বৃক্ষ ও তার মাথায় শাদা শাদা বকের পাল যে দেখোঁচি, তাদের সংখ্যা নিতান্ত তুচ্ছ হবে না । দক্ষিণ-ভাগলপুরের এই অঞ্চলের জমি গঙ্গা ও কুশীর পলি-মাটিতে গড়া উত্তর ভাগলপুরের জমি থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । এদিকের ভূমির প্রকৃতি ও উদ্ভিদ-সমাবেশ সাঁওতাল পরগনার মতো, তেমনি কঁাকরভরা, রাঙা, বন্ধুরশুধু শাল ও মউল বনে ভরা, ঠিক যেন দেওঘর মধুপুর কি গিরিডি অঞ্চলে আছি বলে মনে হয়। বেলা প্রায় ন’টার সময় দূর থেকে একটা মন্দিরের চূড়ো দেখা গেল-কিন্তু চুড়োটা যেন পথের সমতলে অবস্থিত । অম্বিক