পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Son कारख्रिथांख्रिक অরণ্য দেখিনি, যেখানকার বিচিত্র বন্যপুস্পশোভা তাকে অতটা আনন্দ দিতে পারবে । বসন্তে দেখোঁচি সিংহভূম ও উড়িষ্যার অরণ্যে গোলগোলি ফুলের বড় শোভা । কিন্তু সব বনে এ গাছ দেখা যায় না, কোনো বনে আছে, কোনো বনে আদৌ নেই। এই গাছ দেখতে ঠিক একটি পত্রহীন আমড়া গাছের মতো, কিন্তু কপিনই খুব বড় হয় না । বসন্তে পাতা ঝরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুল ফোটে, ফুলগুলির আকৃতি ও বর্ণ অনেকটা সুর্যমুখী ফুলের মতো । বনের সবুজ পাতার মধ্যে থেকে এখানে-ওখানে এক-একটা শুভ্রকাণ্ড, নিম্পত্র, আঁকাবঁকা গোলগোলি গাছ:হলদে ফুলে-ভরা দাড়িয়ে আছে-এ দৃশ্য যিনি একবার দেখেচোন, তিনি কখনো ভুলবেন না । এ ছবি আরও অপূর্ব হয়, যদি কাছে বড় বড় অনাবৃত শিলাখণ্ড থাকে। উদ্ভিদতত্ত্ববিদ হুকার তঁর প্রসিদ্ধ ‘হিমালয় জানােল’ নামক গ্রন্থে গোলগোলি ফুলের সৌন্দর্যের যথেষ্ট সুখ্যাতি করেচেন-ৰ্তার বইয়ে নিজের হাতে আঁকা ছবিও আছে এই ফুলের । বসন্তে আরও দু একপ্রকারের ফুল দেখেচি এই অঞ্চলের বনে, যেমন লোহাজাঙ্গি ও ঝাটি ফুল । এদের ফুল হয় অনেকটা চামেলি ফুলের মতো --তবে গন্ধহীন । পলাশ সর্বত্র নেই-যেখানে আছে, যেমন পালামেী ও রাচি অঞ্চলের প্রাস্তরে ও বনে, সেখানে রক্তপলাশের শোভা বড় অদ্ভুত হয়। কিন্তু প্রাস্তর ছাড়া পার্বত্য অরণ্যে পলাশ গাছের ভিড বড় একটা থাকে না । শাল ফুলের সুগন্ধু আছে-কিন্তু দেখতে বিশেষ কিছু নয় । মহুয়া ফুলের সম্বন্ধেও এই কথা খাটে । কোনো কোনো বনে বর্ষা ঋতুতে কুরচি ফুল যথেষ্ট দেখা যায়-বিশেষ করে সিংহভূমি অঞ্চলে । শিমুল ফুল বনের মধ্যে টেষ্ণু গাছ আলো করে থাকলে যে কি শোভা