পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক Save ছাড়া অন্য কোনো জানোয়ারের টিকি দেখা যায়নি যদিও ই এবার কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে এল, এবার সাবধান হয়ে চলাই দরকার । চড়াইয়ের জঙ্গলে অনেকটা চলে এলুম। সন্ধ্যার অন্ধকার বেশ ভালো ভাবেই নামলো, আমরা কি করবে। ভাবচি এমন সময়ে একটা কি অদ্ভুত ধরনের শব্দ আমাদের কানে গেল দূর থেকে । দুজনেই দাড়িয়ে রইলুম। বাঘ বা ওই ধরনের কিছু ? অল্পক্ষিণ পরেই বনের নিবিড় অন্তরাল থেকে বার হয়ে এল একটা সাদা কাপড়ের ভুলি। দুজন ভুলি বইচে, পেছনে জন-তিনেক লোক, ওদের সকলেরা:হাতেই লাঠি ও বশ । আমরা ওদের দেপো যতখানি অবাক, ওরাও আমাদের দেখে তার চেয়ে কম অবাক নয় । আমরা বললুম, কোথায় যাবে তোমরা ? আমাদের প্যাণ্ট -কোট পরা, হাট মাথায় মূর্তি দেখে ওরা বেশ ভয় থেয়ে গিয়েচে’ বোঝা গেল। বিনীতভাবে তারা বললে, তারা লছমীপুরে যাবে । -ডুলির মধ্যে কি ? -একটি মেয়ে আছে বাবুজী অম্বিক উকিল মানুষ, সে এগিয়ে গিয়ে বেশ একটু মুরুবিয়ানার স্বরে বললে, কোথাকার মেয়ে, কি বৃত্তান্ত, আমরা জানতে চাই । কোথা থেকে আনচো ? একটি নিরীহ গোছের দেহাতী লোক এগিয়ে এসে আমাদের আভুমি নত হয়ে সেলাম করে বললে, গরিব পরওয়ার, আমার আউরৎ আমার বাড়ি থেকে লছমীপুরে ওর বাপের বাড়ি যাচ্চে, আমি ওর স্বামী, নাম বিঠল ভকৎ, হুজুর SV)