পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s。• अख्यिांखिक আমি ভেবে দেখলুম, রেল থেকে এই দূরত্বই (অন্তত বত্রিশ মাইল) ওকে আরও সৌন্দর্য দান করেচে। রেলস্টেশনের কাছে হ’লে এ গ্রাম যেন সাধারণের উচ্ছিষ্ট হয়ে পড়তো-এ এখন রূপসী, সরলা বন্যবালাশুভ্র ও অপাপবিদ্ধ । এই দিশাহীন রাঙামাটির মুক্ত প্রান্তর, অদূরের শুই শৈলচুডা, হাতীর মতো বড় বড় পাথরের আসনগুলো-নাবাল জমিটার ও ঝরনাটার সৌন্দর্য এ গ্রামকে অদ্ভুত শ্রী দান করেচে-অথচ এখানে কলকাতার কোনো লোক এখনও বাড়ি করেনি-কোনদিন করবেও নাএ গ্রাম এমনি জনবিরল, নিস্তব্ধ ও শান্ত বন্যপ্রান্তরের মধ্যে চিরদিন নিজের সৌন্দর্য অটুট রেখে চলবে- একথা ভেবেও মনে আনন্দ পেলুম। এই চিন্তার সঙ্গে সঙ্গে মনে একটা গুপ্ত-বাসনা অবিশুিই থাকে- যদি কখনো সুবিধে হয় তবে এখানে বাড়ি করবো । --खभिद्र ५ २"t८न् दि प्रभा ट्व्र३* ? -জমির দাম ? কি করবেন বাবুসাহেব ? -ধরে যদি বাস করি ? হরিবংশ আনন্দে উৎফুল্প হয়ে বললে-বাস করুন না, জমি কিনতে হবে না। বাবুজি । ওই মোডের ধাবে ভালো জমি আমার নিজের আছেআপনাকে দিচ্চি। আসুন না ! যেখানে আপনাদের পছন্দ হবে গায়ের মধ্যে জমি নিন। পনেরো কুডি টাকা বিঘে দরে জমি বিক্রি হয়। ওই রাঙা মাটির বড় ডাঙােটা নিন না ! বাসের পক্ষে চমৎকার জায়গা । ওটা বাইশ বিঘের ডাঙা-আমি গ্রামের প্রধানকে বলে সস্তায় করে দেবো । দশটাকা বিঘে দরে ডাঙাটা আমি আপনাকে করে দিতে পারি। প’ডেই ত রয়েচে আমার জন্ম থেকে । দশটাকা বিঘে পেলে বর্তে যাবে । মহিষারিডি থেকে পরদিন সকালে বেরিয়ে পড়লাম । যাবার সময় বায় বার মনে করলুম, যদি কখনো সুবিধে হয়, আর