পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टेिकाि Ros আমি বললুম-কোন সময় যাওয়া ভালো ? এখন তো বর্ষাকাল । -পূজোর সময় রাস্তা-ঘাট ভালো হয়ে যায়, পাহাড়ী কল্পনায় জল শুকিয়ে যায়-সেই সময়েই যান । ঠিক হ’ল সে-ও পূজোর ছুটিতে আমার সঙ্গে যাবে। কিন্তু মাস-দুই পরে যখন পূজোর অবকাশ এসে পড়লো-সে বললে, তাকে একবার তাদের গ্রামে যেতে হবে, এখন সে যেতে পারবে না । আমি তাকে বললুম-তোমার দাদাকে চিঠি লিখে দাও আমি ষষ্ঠীয় দিন কলকাতা থেকে রওনা হবে, তিনি যেন সব বন্দোবস্ত রাখেন । সে বললে-ঘোড়া চডতে পারেন তো ? বত্রিশ মাইল ঘোডার ওপর যেতে হবে । রাস্তাও খুব ভালো না। উচু-নিচু পাহাড়-জঙ্গলের রাস্ত । আমি তাকে আশ্বস্ত করলুম, ঘোড়ায় চডা আমার যথেষ্ট অভ্যাস আছে । ওর চেয়ে বেশি পথও আমি ঘোড়ায় চডে গিয়েচি । দিন ঠিক করে দুজনেই DgKD LBBL DuDuD LDBY BDDuL0S নির্দিষ্ট দিনে জিনিসপত্র নিয়ে হাওড়া স্টেশন থেকে বেঙ্গল নাগপুর রেলপথের বম্বে মেলে। রওনা হ’লাম । সেবার সারা বর্ষাকাল ধরে খুব বৃষ্টি হয়ে দিন-পনেরো-কুডি আকাশ বেশ নির্মল হয়ে রৌদ্র ফুটেছিল । যাবার সময় দেখলুম রেলের দুধারে যথেষ্ট ধান হয়েচে, ফসল খুব ভালো হবে । বৈকালের ছায়ায় বহুদূরবিস্তৃত শ্যামল ধানক্ষেতের শোভা দেখতে দেখতে কোলাঘাটে পৌছে গেলুম। রূপনারায়ণের পুল যখন পার হই, তখন সন্ধ্যার অন্ধকার নেমেচে । বম্বে মেল ঝডের বেগে ছুটে চলে গিাধনি, ঘাটশিলা, গালুডি পার হয়ে গেল। রাত হয়েচে বেশ }-আমার মুশকিল হয়েচে, খড়গপুর জংশনে খাবার কিনিনি, ভেবেছিলুম। তখনও তত রাত হয়নি-আগের কোনো স্টেশনে কিনবো এখন । বি, এন, আর সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা ছিল না-এ লাইনে যে