পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rote धाङिश्वांक्षि --আপনি নতুন আসচেন, আমি বহুবার দেখেচি এ সব । সেই টানেই ¢ऊा खानेि । --আপনারও খুব ভালো লাগে। এসব-না ? -খুব । কালাহাণ্ডি ফরেস্টের নাম শুনেচেন ? আমার এক বন্ধুর সঙ্গে সেখানে শিকারে গিয়েচি-বড় ইচ্ছে করে আবার যেতে । লোকটিকে এতক্ষণ ভালো চিনতে পারিনি। সন্ত্রমে আমার মন পুর্ণ হয়ে গেল । পিপাসা থাকলেই হ’ল-না দেখলেও ক্ষতি নেই । পিপাসা আত্মার জিনিস-দেখাটা বহিরিান্দ্রিয়ের । মনের বেদীতে হোমের আগুন না নিবে যায় । সাগ্নিক বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের মতো সে আগুন আতি যত্নে যে রক্ষা করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চলতে পারে, সে মৃত্যুকেও জয় করবে-কারণ তার চোখ ও মন তৈরী হয়ে গিয়েচে । তার আত্মায় সম্পর্শ লেগেচে বিরাটের, অনস্তের। আমার সহযাত্রী সোৎসাহে কালাহাণ্ডি ফরেস্টে শিকারের কাহিনী বলে যেতে লাগলেন। শুনতে শুনতে আমার কখন নিদ্রাবেশ হয়েচে জানিনেহঠাৎ কতক্ষণ পরে যেন আমার কানে গেল কে বলচে-উঠন, উঠুন, বিলাসপুর আসচে-জিনিস গুছিয়ে নিন-ও মশাই তন্দ্রা ভেঙে গেল । ট্রেনের বেগ কমিয়েচে, বন পাহাড় অদৃশ্য, অন্ধকার কখন মিলিয়ে গিয়ে বেশ দিনের আলে। ফুটেচে। দূরে একটা স্টেশনের ডিসট্যাণ্ট সিগন্যাল দেখা গেল। আমি জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলাম, কারণ আমায় বিলাসপুরেই নামতে হবে। আকাশের দিকে চেয়ে দেখি ভয়ানক মেঘ করেচে, মন বড় দমে গোল মেঘ দেখে । আবার যদি বৃষ্টি শুরু হয় তবে এবারকারের বেড়ানোটা মাটি করে দেবে। ट्'ल७ डांझे । বিলাসপুর রেলওয়ে রেস্তোরাতে বসে চা খাচ্চি--এমন সময় ভীষণ