পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাত্রিক R Y D --তোমরা কোথায় যাচ্চ ? -কাৰ্গি রোড স্টেশনে। প্রতাপবাবু পাঠিয়েচোন। বাবুজি কি কলকাতা থেকে আসচেন ? আপনার নাম ? আমি বললুম-এত দেরি করে এলে কেন ? তোমাদের জন্যে স্টেশনে বসে বসে কাল হয়রান হয়েচি । আসলে এদের চিঠি পেতে দেরি হয়েছিল। এ সব জংলী জায়গায় চিঠি বিলি হ’তে দু-একদিনের এদিক-ওদিক হয়ে যাওয়া খুব অস্বাভাবিক ব্যাপাব নষ । আমি আমার আগের ঘোড়াকে বিদায় দিয়ে নতুন ঘোড়ায় চড়লুম। নতুন সঙ্গীদেব বললুম।--বেলা তো এখুনি যাবে।-যাবো হ’ল, রাত্রে কোথায় থাকি যাবে ? ওরা বললে-চোরামুখ গালার কারখানায় । -সে কতদূর ? -এখনও বাবুজি, আট মাইল । রাত সাতটায় সেখানে পৌছবো । পথের সৌন্দর্য সত্যই বড় চমৎকার। পথের বঁা-পাশে একটা ছোট নদী একে বেঁকে চলেচে, অভ্র কণা মেশানো বড় বড় শিলা দিয়ে তার দুই পান্ড যেন মাঝে মাঝে বঁধানো । এক একটা গাছের কি আকা-বঁকা ভঙ্গি ! পডশী ও ভেলা গাছ। এ অঞ্চলে প্রায় সর্বত্র, কিন্তু কোথাও বেশি। বড় বন নেই ! একটা পাহাডের আডালে সুর্য অন্ত যাওয়ার দৃশ্যটা সুন্দর লাগলো। তখন আকাশ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে স্থানে স্থানে নীল রং বেরিয়ে পড়েচে । কিছুক্ষণ পরে অন্ধকার হয়ে এল, তারপরেই অস্পষ্ট জ্যোৎস্না ফুটলো । দুতিনটি বস্তি পার হওয়া গেল রাস্তায় । একটা বস্তিতে কি একটা পাঠ হচ্চে। চাঁদোয়ার নিচে বাতি জলচে, অনেকগুলি মেয়ে-পুরুষ পাঠককে