পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R D অভিযান্ত্রিক ঘিরে দাড়িয়ে শুনচে । আমাদের দেশের কথকতার মতো । সন্ধ্যার পর বন আর চোখে পড়ে না, শুধুই একঘেয়ে মোরুম ছড়ানো বড় বড় মাঠ-এ মাঠে যদি ডাকাত প’ড়ে আমাদের সবাইকে খুন করেও যায়, তাহ’লেও কেউ দেখবে না। কোনো দিকে লোক নেই, একটা বস্তির আলোও চোখে পড়ে না । আমার মনে হয় পুরো দুঘণ্টা লাগলো। এই বিস্তীর্ণ প্রান্তর পার হ’তে, অবিশিষ্ঠ ঘোড়া ছুটিয়ে যাবার উপায় ছিল না। আমার-কারণ পথ চিনি না, সঙ্গের দুজন লোক ঘোড়ার পাশে হেটে যাচে-তাদের ছাড়িয়ে যাওয়া চলে না । প্রায় যখন সাড়ে সাতটা, তখন দূরে আলো দেখা গেল । ওরা বললে-ওই চোরামুখ বস্তির আলো । বেশ শীত করাচে, বোধ হয় বাদলার হাওয়া আর এই একদম খোলা মাঠের জন্যেই। অগ্রহায়ণের প্রথমে যেমন শীত পডে বাংলা দেশে, সেই রকম শীতটা । গরম কাপড় সঙ্গে বিশেষ কিছু আনিনি, মনে হ’ল না-এনে বড় ভুল করেচি । চোরামুখ পৌছে একটা বড় খোলার কুলি-ধাওডার মতো ঘরে ওরা আমায় ওঠালে । ওদের সঙ্গে কোনো আলো নেই-আমার সঙ্গেও নাজায়গাটা নিতান্ত অন্ধকার। জিনিসপত্র নামিয়ে বিশ্রাম করচি, এমন সময় আমার নজরে পড়লো ঘরটার সামনের রাস্তা দিয়ে বাঙালী ধরনের ধূতি-কামিজ পর একজন লোক যাচ্চে-কিন্তু অস্পষ্ট জ্যোৎস্নার আলোয় कि निहड अब्रलूप ना ८लांक िवांeॉलैी *ि ना । আমি ওদের বললুম-এখানে দোকান আছে তো ? -ই্যা বাবু, ছোট একটা বাজার আছে-সব পাওরা যায়। ওদের পয়সা দিলাম চাল আলু ইত্যাদি কিনে আনতে । মোমবাতি যদি পাওয়া যায়, তাও আনতে বলে দিলাম । আমি অন্ধকারে বসে আছি