পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3989 অভিযাত্রিক আমার বন্ধুর প্রাণরক্ষা হয়েছিল। রাত বেশি হ’ল, মাচার ওপর আমরা “মাত্র দুজন । এই যে বন দেখাচেন, এই বনেরই ব্যাপার। তবে তখন আরও “ঘন ছিল, এখন ইজারাদারেরা কেটে কেটে অনেক সাবাড়ি করে দিয়েচে । অনেক রাত্রে বাঘ এল-প্রকাণ্ড ম্যান-ইটার। আমার বন্ধু বললে-গুলি করে। আমি জীবনে তখন বন-মুরগী ছাড়া কোনো বড় জন্তু মারিনিআর বুনো বাঘ কখনো দেপিাওনি । তার গর্জন শুনে আর চেহাব দেখে আমার হাত পা কঁাপিতে লাগলো। বন্দুক হাত থেকে পড়ে যায আর কি। তারপর সেই বাঘ যখন আমার বন্ধুর গুলি পেয়ে লাফ মেরে ভীষণ স্থাক দিয়ে সামনে উঠতে গেল-আমি মাচানের পেছন দিয়ে লাফ দিয়ে মাটিতে পড়বার চেষ্টা করলাম । আমার তখন জ্ঞান নেই, বুদ্ধিাশুদ্ধি লোপ পেয়েচে ভয়ে । দু-দুবার বাঘ লাফ মারলে দু সেকেণ্ডের মধ্যে, দু-দুবার আমি পেছন থেকে লাফ দিয়ে মাটিতে পডবার চেষ্টা করলাম। সেই দুই সেকেণ্ডের মধ্যে । পাবলাম না। শুধু গাছের সঙ্গে বাধা আছি বলে। তখন বন্ধু বললে, যদি তোমায় না। বাধ্যতাম, বুঝেচ এ%ন কি হ’ত ? -- বাঘ মারা পড়লে শেষ পর্যন্ত ? --নাঃ, সে রাত্রে সেটা পালালে। পরদিন সকালে এক মাইল দূবে এক জায়গায় ঘাসের মধ্যে বসে আছে, তখন আবার গুলি করা ত’ল । বাঘ চার্জ করলে- তখন দুই ভুরুব মাঝখানে আর এক গুলি । ওই হচ্চে BB uDDBDB BDBDS DBDBDBK DLDLLD gB B DBYL0SJuDuDBDKS gED BDSBBBD জন্তু কাবু হবে না। অন্য যে কোনো জায়গায় গুলি লাগলে, বাঘ জখম হ’তে পারে বটে, মরবে না । আমি জানতাম মাধোলাল বড় শিকারী না হ’লেও ইদানীং জানোয়ার মেরেচে। অনেক । আমার বন্ধুর মুখেই ওর শিকারের অনেক গল্প শুনেচি ।