পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRNGy" “অভিযান্ত্রিক বললুম-তবে মাধোলাল, আমার একটা আশ্চর্য গল্প শুনবে ? মাধোলাল উৎসাহের সঙ্গে বললে—নিশ্চয়ই, বলুন। বানিয়ে বানিয়ে ওকে একটা খুব বড় ও অদ্ভুত ধরনের জানোয়ারের গল্প করলুম- আরাকান ইয়োমার জঙ্গলে দেখেছিলুম। মাধোলাল বিশ্বাস করলে। আমার উদ্দেশ্য খানিকটা ভয় ও রহস্যের সৃষ্টি করা, এই অরণ্য“প্রান্তের এমন অপূর্ব পূর্ণিমারাত্রিকে আরও নিবিড় ভাবে পাবার জন্যে। শীত করতে লাগলো । তখন রাত বারোটার কম নয় । আমি ওকে বললুম-এ বন খুব বড় ? --রেওয়া স্টেটু পর্যন্ত চলে গিয়েচে-বেশি নয়, মাইল বাইশ তেইশ। এখান থেকে । ওদিকে অমরকণ্টক পর্যন্ত চলেচে । খুব বড় বন । --বেপ দেখবার জায়গা--- না ? সিনারি ভালো ? -সিসারি আপনার কাকে বলেন বুঝি না। তবে এমন সব জায়গা আছে, যেখানে গেলে আর বাডি ফিরে আসতে ইচ্ছা করে না, এখানেই <থাকি মনে হয় । একটা জায়গার কথা বলি । পশ্চিম দক্ষিণ কোণে এই বনের একটা পাহাডের নাম ঘোড়াঘাটির পাহাড় । দেখতে চান তো একদিন নিয়ে যাবে। সাদা পাথরের পাহাড়টা, অনেকটা উঁচু, বডড কঁাটাগাছের জঙ্গল, আর পাথরের ফাটলে পাহাড়ী মৌমাছির চাক । গ্রামের লোকেরা ঘোড়াঘাটর পাহাড়ে মধু সংগ্রহ করতে যায় চৈত্র মাসে। সে মময় একরকম সাদা ফুল ফোটে, খুব বড বন্ড, ভারি সুগন্ধ । ঘোডাঘাটির পাহাড়ে ওই ফুলের গাছ অনেক । বেশ বড় গাছ । আপনি গিয়ে দেখবেন, যাকে আপনারা সিনারি বলেন, তা আছে কি না । -এখান থেকে কতদূর হবে ? --তা তেরো-চোদ্দ মাইল হবে । ঘোড়াঘাটি পাহাড়ের গায়ে দুটো <গুহা আছে, একটার মধ্যে একজন সাধু থাকতেন--আজি প্রায় পনেরো