পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wffynffigr Ve) অজায়গা করে দিলে। কিছুক্ষণ পয়ে বস্তিয় লোকজন আমাদের ঘিয়ে গল্প母〔丐可夺颈r5g研1 একজন বললে-তোরা ভালুকের ছানা কিনবি ? আমরা দেখতে চাইলাম। তারা দুটি ছোট লোম-ঝাঁকড়া বিলিতি কুকুরের ছানার মতো জীব নিয়ে এল। মাত্র দুমাস করে তাদের বয়েস, এই বয়েসেই বন্ড কুকুরের মতো গায়ের শক্তি । ওরা বললে, একটা বাঘের বাচ্চা ও ছিল, কিছুদিন আগে ডোঙ্গর গড় থেকে এক সাহেব শিকারী <এসেছিল, তার কাছে ওরা সেটা বিক্রী করেচে । আমরা ভালুকের ছানা কিনিনি, বনের মধ্যে কোথায় কি খাওয়াবো, দলের অনেকেই আপত্তি করলে । বস্তিটাতে ঘর-দশোক লোক বাস করে । আমরা বললাম-তোমরা জিনিসপত্র কোনো কোথা থেকে ? ওর। বললে- এখানে আমরা ভুট্টা আব্ব দেধানার চাষ করি । নুন কিনে আনি শুধু আমরকন্টকের বাজার থেকে । তীরন্ধনুক আছে, পাখী আর হবিণ শিকার করি । অমরকািণ্টকের মেলার সময় হরিণের চামড়া, ভালুকের ছানা, পাখীর পালখ ইত্যাদি বিক্রী করি যাত্রীদের কাছে। তা থেকে কাপড় কিনে আনি । বেশ সঙ্গত জি ও সরল জীবনযাত্রা । তবে এরা বড় অলস । জীবনযাত্রার অনা ডম্বর সরলতাই এদের অলস ও শ্রমবিমুখ করে তুলেচে । পয়সা দিতে চাইলেও কোনো শ্রমসাধ্য কাজ এরা সহজে করতে বাজি হয় না । পয়সা রোজগার করবার বিশেষ ঝোক নেই । বিনা আয়াসে যদি আসে তো ভালো, নতুবা কষ্ট কবে কে আবার পয়সা উপার্জন করতে যায়। সবগুলি বন্য গ্রামেই প্রায় এই অবস্থা । কতবার বলে দেখেচি-এক বোঝা কাঠ ভেঙে এনে দে না, পয়সা দেবো ।