পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ( 42 অভিমাজিক ও কিরণ-ঘুমুতেই এসেচ কি শুধু পয়সা খরচ করে ? উঠে টাটানগঙ্ক দেখ-টাটানগর এসেচে পরিমল উঠে চোখ মুছতে মুছতে বললে-কি স্টেশন এটা ? --টাটানগর । -51 *if'gध्रi शाहष्5 6ड} ? --অভাব কি। ওদের সব ঘুম ভাঙিয়ে দাও-চা ডাকি । প্রমোদীবাবু প্ল্যাটফর্মে নেমে বললে-আরো এ টাটানগর কোথায় ? লেখা আছে সিনি জংশন । আমরা সবাই অবাক, এ কি, এত বড় জায়গা-এত মোটরের ভিড় সিনি জংশনে ! কখনো তো নামও শুনিনি । দু’চারজন লোককে ডেকে জিগ্যেস করে জানা গেল এত মোটরের ভিড়ের কারণ, সেরাইকেলার রাজার ছেলের বিয়ে-সিনি জংশন থেকে সেরাইকেল মাইল পনেরো-কুড়ি পথ-এসব মোটর বরযাত্রী নিয়ে আসচে সেরাইকেল থেকে । আমরা চা খেয়ে নিয়ে ট্রেনে উঠে বসলাম । ট্রেন ছেড়ে व्लि । আমার বন্ধুরা সব জানালার কাছে বসেচে। প্রমোদীবাবু কেবল চেচিয়ে বলেন-ও বিভূতিবাবু, এমন চমৎকার একটা পাহাড় গেল দেখতে পেলেন না ! ওদিকে কিরণ চেচিয়ে ওঠে-কি সুন্দর নদী একটা ! দেখুন দেখুনএই জানালায় আসুন-চাটু করে বেঙ্গল নাগপুর রেলপথের গৈলকেরা স্টেশন থেকে মনোহরপুর পর্যন্ত দুধারের অরণ্য-পৰ্বতের দৃশ্য অতুলনীয়। গৈলকেরা স্টেশনে এসে পাহাড় জঙ্গলের দৃশ্য দেখে প্রমোদীবাবু তো একেবারে নির্বাক ! পরিমলবাৰু