পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাত্রিক R (R) ছোট ছেলেরা মেয়ে সেঙ্গে পায়ে ঘুঙৱ বেঁধে নাচলে। প্রায় ঘণ্টাখানেক চললো নাচ । বেলপাহাডের পাটোয়ারী বললে--আর বাবু দেরি করবেন না । বডড পাহাড়-জঙ্গলের পথে ফিরতে হবে । এই বোলা রওনা হওয়া উচিত ! সেদিন দশমী তিথি । চমৎকার জ্যোৎস উঠলো সন্ধ্যার পরই ৷ আমার মনে একটা মতলব জাগলো। এই সুন্দর জ্যোৎসারাত্রে সামনের সেই পাহাড়-জঙ্গলের পথে এক যাবো। নতুবা ঠিক উপভোগ করতে পারা যাবে না । সন্ধ্যার পরেই ওরা সবাই রওনা হ’ল। আমি বললুম-হেঁটে আমি এক পা-ও ষোতে পারবে না, পায়ে ব্যথা হয়েচে । আমি গোরুর গাডিতে ষাবো । কিরণ বললে-বুঝতে পেরেচি, মুখেই শুধু বাহাদুরি ! পরিমল বললে-বিভূতি-দা’র সব মুখে । আমি ও অনেককাল থেকে सृञि । আমরা এবার রওনা হবো । জনৈক গৃহস্থ আমাদের সামনে এসে বিনীতভাবে জানালে আজ রাত্রে তার মেয়ের বিয়ে-আমরা যদি আজ এখানে থেকে যাই এবং বিবাহ-উৎসবে যোগ দিই-তবে বডি আনন্দের কারণ হবে । অবিশ্যি থাকা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ওদের ভদ্রতা আমাদের মুগ্ধ করলে। আমরা মিষ্ট কথায় তুষ্ট করে বিবাহ-উৎসবে আমাদের যোগ দেওয়ার অক্ষমতা জ্ঞাপন করলুম। সময়ের অভাব, আজ রাত্রেই আমাদের ফিরতে হবে কলকাতায় । যাওয়ার সময় বিস্বাধীর হঠাৎ হাত জোড় করে বললে-আমার একটা আৰ্জি আছে বাবুদের কাছে