পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अख्यिोंकि Whe কুঞ্জবাবু দেখলুম লজিত হয়ে পড়লেন। আমার পরিচয় জিগ্যোস করাতে আমি বললাম-কলকাতা থেকে আপিসের কাজে এসেচি, আবার দু' চারদিন পরে চলে যাবে। - आट्छौ কোথায় ? --কাউনিয়াতে আছি-এক বন্ধু বাড়িতে আমায় সঙ্গে করে তিনি একটি নিচু গোছের গোলপাতার ঘরে নিয়ে গেলেন । আমি ঠিক, জানিনে সে ঘরটাতে তিনি সব সময় থাকতেন। কিংবা তার আলাদা কোথাও বাসা ছিল । ঘরের মধ্যে বসিয়ে তিনি আমার প্রশ্নের উত্তরে অনেক ভক্তিমূলক কথাবার্তা কইলেন । আমায় একটা ছোট্ট রেকাবি করে বাতাসা আর শশাকাটা খেতে দিয়ে বললেন-ঠাকুরের প্রসাদ, মুখে দিন একটু। সরল-বিশ্বাসী ঈশ্বরভক্তি লোক । তার পাণ্ডিত্য ততটা। ছিল না, যত ছিল ভগবানে বিশ্বাস ও ভালোবাসা । যতদিন বরিশালে ছিলাম, মাঝে মাঝে তার সেই ছোট্ট ঘরটাতে গিয়ে তার সঙ্গে কথাবার্তা বলে বড় আননদ পেতাম । দুঃখের বিষয় আমি বরিশাল থেকে চলে আসবার অল্প কয়েক মাস পরেই উপরোক্ত দুই ভদ্রলোকই পরলোকগমন করেন । কলকাতায় বসে। এ খবর আমি কার কাছ থেকে যেন শুনেছিলুম । আমার যতদূর মনে আছে শেকসপিয়ারের সমালোচক ভদ্রলোকের নাম অমূল্যবাবু। আমন আত্মভোলা ধরনের পণ্ডিত লোক আমি জীবনে খুব বেশি দেখিনি । বরিশাল থেকে খালপথে উজীরপুর বলে একটা গ্রামে আমার এক সহপাঠীর বাড়ি গেলুম বেড়াতে । একটা খালের মধ্য দিয়ে গিয়ে আর একটা খালে পড়লুম, সেখান থেকে আর একটা খাল-সারা রত্রিই চলচে নৌকো। রাত এগারোটার সময় ইসলামিকাটি বলে একটা বাজারে নৌকো। থামিয়ে মাঝিরা খেতে গেল ।