পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক ty এসে চন্দ্রনাথ পর্বতকে নিতান্ত উইটবির মতো মনে হচে । হাজার দেভ কি। সতেরোশ” ফুট উচু পাহাড় আবার কি একটা পাহাড নাকি ! কিন্তু এ ভুল আমার পরে ভেঙেছিল, সে কথা বলচি । সীতাকুণ্ড গ্রামের মধ্যে কতার পরিচিত এক পাণ্ডার বাডি গিয়ে হুজনে উঠলাম । আমার সঙ্গী এ অঞ্চলের একজন বিখ্যাত লোক ও জমিদার, সীতাকুণ্ড গ্রামে তার নিজের একখানা বাগানবাডি আছে, অপরিষ্কাব হয়ে পড়ে আছে বলে সেখানে ওঠা হয় নি- এই পাণ্ডাটি। এর আশ্রিত ও অনুগত ব্যক্তি, তাই এখানেই ওঠা হ’ল-তীর্থধর্ম করে পুণ্য অর্জন করবার জন্যে নয় । পাণ্ডাঠাকুব আবিশিষ্ঠ বাঙালী ব্রাহ্মণ, আমায় বললে-পাহাডে উঠবেন। না ? চলুন নিযে যাই।-- আমার সঙ্গী হোসে বললেন---তোমায় নিয়ে যেতে হবে না। ঠাকুর মশাই। উনি নিজেই যেতে পারবেন, অনেক পাহাড জঙ্গল ঘুরেচেন একা -তোমাদের চন্দ্রনাথ পাঠাডে এক যেতে আটকাবে | 3 || পাণ্ডাঠাকুরের প্রাপ্য তা হ’লে মাবা যায়-সে তা ছাডবে কেন । আমাকে নিয়ে সে পাহাডে উঠলো । চন্দ্রনাথের বুক্ষলতার শোভা আমার মন মুগ্ধ কবলে ওঠবাব পথে, বিরূপাক্ষ মন্দির চাডিয়েন্ট। অনেক বড় লোক পাতাrড় ওঠবাব সিডি তৈরি কবে দিয়েচে নিজেদের পরলোকগীত আত্মীয়দের স্মৃতিরক্ষাবি জন্যে, মার্বেল পাথরের ফলকে তাদের নাম-ধাম লেখা আছে, আমার তো খুব ভালো লাগছিল প্রত্যেকখানি মার্বেল-পাথরের ফলক পািডতে, ওঠবার সময় অনেক দেরি হয়ে গেল। সেজন্যে । বিরূপাক্ষ মন্দির চাডিয়ে অনেক দূর উঠে একটা পাহাড়ী ঝরনা নেমে আসচে, সেখান থেকে পথ দু’ভাগে ভাগ হয়ে দুদিক দিয়ে ওপরে উঠচে ।