পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- IrrfKI VIR --আপনারা ? -আমি ব্রাহ্মণ, আমার এই বন্ধুটি কায়স্থ। -পূজো দেবেন। মায়ের ? আমার মনে হ’ল এখানে দিলে ভালো হয় । লোকটা গরিব, দিলে ওর উপকায় করা হয় বটে । ইতিমধ্যে দেখি একটি বৌ, সম্ভবত পুজারী ব্রাহ্মণটির স্ত্রী, দুখানা আসন আমাদের জন্যে বিছিয়ে দিয়ে গেল। আমার বাস্তবিক কষ্ট হ’তে কলাগলো-এর ভেবেচে কলকাতা থেকে পয়সাওয়ালা বাবুরা এসেচেভালো ভাবেই পুজো দেবে-দু’। পয়সা আসবে। কলকাতার বাবুধে দুটি পয়সা অভাবে হেঁটে সারাপথ এসেচে-সে খবর এরা রাখে না। রমেশবাবু পকেট থেকে দুটি পয়সা বার করলেন, "মামার পকেট থেকে বেরুলো একটা পয়সা। পূজারী ঠাকুর বেশি কিছু আশা করেছিলেন, তা হ’ল না, তবুও দুটি নারকেলের নাড়ু প্রসাদ দিলেন। छभट्र ट्रंड } সন্ধ্যা হয়েচে, বঁাশবাগানের তলায় অন্ধকার বেশ ঘন । আমরা বেলঘরিয়া স্টেশনে এসে কলকাতার গাড়ি ধরন্সুম। আমার বন্ধু নীরদ আমার সঙ্গেই মেসে থাকে। দুজনেরই অবস্থা সমান । কলকাতা থেকে বেরুনো হয়নি কোথাও অনেকদিন । নীরদ বললে-চল, কোথাও রেলে বেড়িয়ে আসি য়েলে কোথায় যাওয়া যায় বেশ ভেবে চিন্তে দেখলুম। দুরে কোথাও যাওয়া চলবে না, তত পয়সা নেই হাতে । সুতরাং আমি পরামর্শ দিলামঞ্জ