পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ । >>> এমন সব কথা কয় যে ভদল্লোকের তা মুখে আসে না। ঐ সব লক্ষ্মীছাড়া অন্নকোষ্টে বেটাদের কাছে হাত যোড় কোরে বলে কি, বলে আমি তোমাদের চাকোর, আমি তোমাদের ভাড়ারি। আমিতে লজ্জায় আর মাথা তুলতে পারিনে। আর এ দিগে ওর এই সব হারামজাদগি দেখে হাসিও রাখতে পারিনে। জমি । ও কথাটা তোমার মিচে । বিদেতা তোমার কপালে লেখবার সময় হাসির ঘরটা ভুলিই মেরেছেন। আমি তো তোমাকে এ জন্মে কখনো হাসতে দেখলেম না । কাদৃতেও কখনো দেখিনি। কেবল একবার যে তোমার শূল বেদন হয়েছিল -তাইতে বটে কখনো কখনো চোখের জল পোড়তে দেখিচি। আর একবার তোমার পাঁচটা টাকা হারায় তাতে তুমি যথার্থই কেঁদেছিলে। তা যা হোক, তা ঐইবা অমন কোরে লোকের কাছে নীচ হয় কেন ? ষাড়ে। তা বুঝতে পারেন নি ? ওর ইচ্ছেটা আপনার চেয়ে মান্য হবে । তা হয়েচে । আপনিও তো বিদেশ থেকে দেশে এসে থাকেন ; কোই কাকৃথুই তো ঘাটে থেকে আগ বাড়িয়ে আনৃতে যেতে দেখিনে । বরং যার ঘাটে থাকে তারা সোরে যায় । 景 জমি। কেন ও যে উকীল হয়েচে তারই গুমোর দ্যাখায় নাকি ? আচ্ছ এই আমি তবে লাগলেম । ওর গুমোরটা ভাংচি। ষাঁড়ে । (স্বগত) ইঃ, এই এতক্ষণের পর, ওষুধটা ধোরলো । গাটা গরম হয়ে উঠেচে । *. জমি ও গে উকীল হোক আর জজ হোক চাকর বৈতন । বাদোর বড় হল তো বন মানুষ, আসল মানুষ কখনই হতে পারে না । আমি হোচ্ছি জমিদার। সাহেবর আগে আমাদের মান্য করে। যেমন ইচ্ছে তেমন কোরে রেয়তের কাছে টাকা আদায় কোরি তাতে তো কিছু হান