পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>为鼻 অমবনাথ { কমল । তা ওদের দুভাই বোনের যে চবিত্র আর পরস্পর প্রণয, সেইইতো আমার পক্ষে যেন দারুণ গাযেব জ্বালাতে একটু পাখার বাতাস। অমর। তা কেন তুমি কোন গ্রন্থ পাঠ কর না ? কমল । গ্রন্থ পাঠের মধ্যে এক রামায়ণ আৰ নৈষধ। মহাভারত যদিও স্থানে স্থানে উত্তম উত্তম ভাব আছে, কিন্তু ওব মূলের বড় দোষ । একুট পুরুষের একশটা স্ত্রী হলেও হামৃ নেই, একটা স্ত্রীর একশটা পতি হলেও হান্‌ নেই। আমার তো গান্ধারীর প্রতি অধিক শ্রদ্ধা, যদিও তিনি দুর্য্যোধনের মাতা; কুন্তীর প্রতি বরং অভক্তি, যদিও তিনি যুধিষ্ঠিবের জননী । তা সেই গ্রন্থ পড়ি তা সেকি পড়া ? সে মৃদ্ধ একখানি গ্রন্থ হাতে কোরে বোসে ভাবা । গ্রন্থখানি সম্মুখে রেখে এই জাম্বল দিয়ে ঐ নদীর দিকে চেয়ে থাকি। এই রকমে দিন যায়, তার পর ওরা দুভাই বোনে ইস্কুল থেকে এলে, তখন ওদের লোয়ে একুটু মনটা শান্ত করি। তা সে যেমন একুট মাচ পুষ্করিণী ছাড়া হয়ে ড্যাঙ্গায় পোড়ে ছটফটু কোচ্ছে, তার পরে তাকে একুটী পাত্রে এক লোটা কি ছু লোটা জল দিয়ে জিয়িয়ে রাখা। সে কেবল জীবিত থাকা মাত্র । অমর | তা বটে। কিন্তু ওদের ভ্রাতা ভগ্নীর যে এরূপ গ্রণয়, দ্বেষ হিংসা রহিত, এটা বড় আশ্চর্য্য। কমল । ও বিষয় কত বোলব? এক দিন চারুর পেটে হঠাৎ একূট বেদন ধোরে সে অতিশয় কাতর হলো । আমি একখানা পাখা নিয়ে বাতাস কোচ্ছি আর ও কাদৃচে আর এ পাশ ও পাশ কোচ্ছে। এই সময় স্বশীল ইস্কুল থেকে এসে কেতাব গুল ঝুপ কোরে ফেলে, “মা ! চারু অমন কোচ্ছে কেন?” বোলে কেঁদে অস্থির হলো। তার পরে বুঝি হঠাৎ মনেপোড়ল, আর অমূনি উঠে বোল্‌ছে “কিছু ভাবনা নেই, একুখুনূই আরাম হবে।” এই বোলে দৌড়ে ডাক্তারের কাছ থেকে একটা শিশিতে কি আরক নিয়ে