পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* অমরনাথ । চাই, সকলই ছিল । হেদে এই কর্ধটা হওয়া পর্য্যন্ত আর সে ভাব নেই । পূর্ব্ব জন্মের কথা স-অৰ ভুলে গেছে। ছুচো ফুলে হাতী হয়েছে, শামুক পাছ ফিরায়ে শঙ্খ হয়েছে, মুচে দাড়ি রেখে মোল্লা হয়েছে। বিলক্ষণ জানে যে, আমাদের কিছু নেই, ভিক্ষোপজীবী, তথাচ মাসে এক টাকা টেক্স ধোরেছে। টেক্সের পরিমাণ অধিক দেখাতে পাল্লে নাকি বেতন বৃদ্ধি হবে, পদের উন্নতি হবে। ঘোষ। তবে এখন তারই কাছে যাচ্ছেন নাকি ? ন্যায় ! না, না ; তার কাছে কি যাবার ষো আছে ? ন-গেলে সে কথা কয় ? এখন যাচ্ছি চেপুটির কাছে। তিনি নাকি মনুষ্য ফলের ছারমান। ইনিকম টিঙ্কস বাদে যে আরও কতগুলি আছে। ঘোষ। আহা ! টেক্সের জ্বালায় লোকগুলকে যেন শয্যাকণ্টকের রোগীর ন্যায় অস্থির কোরে ফেলেছে। বিলিতি ভ্রাণ্ডার গাছে দেশ ছেকে নিয়েছে, তাতে লোক মোর্চে রোগে, আর টেক্সেব জ্বালায় মোর্চে না খেয়ে । যেমন পঙ্গপাল এসে পোড়ে ক্ষেতের শস্য নাশ করে, তেমনই বীকে বণকে টেক্স এসে পোড়ে লোকের অtহারের সম্বল নাশ কোরে গেল ! ন্যায়। এখনও হয়েছে কি ? আবার শুনৃতে পাচ্চি, লেপ্টাণ্টান গোবানরের নাকি হুকুম হয়েছে যে, সহরে যত জিনিস তরি তরকারি ইত্যাদি বিক্রয় হতে আসবে, তত্তাবৎ সামগ্রীরই নাকি টেক্স হবে। ঘোষ । এর পরে মস্তকে শিখা রাখলেও টেক্ল দিতে হবে। ন্যায়। আদায় না হলে কি ঐ শিখা নিলেম কোরে লবে নাকি ? ঘোষ। তা আটক কি ? এই যেমন দীন হুইয়ের বিচূলি বিক্রি কোরে নিলে । তা যাকু —মহাশয় না একদিন বোলছিলেন যে, অমরনাথ বাৰু আপনার টেক্সের ভার লয়েছেন, আর আপনার টোলে দু চারটি ছাত্র পড়ে বোলে আরও কিছু মালিক দিতে চেয়েছেন ?